পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আৰ্য্যধৰ্ম্মের সহিত বাহ ধৰ্ম্মের যোগাযোগ। ৩০ s কাজেই, এ সকল ধৰ্ম্মের ভিতর যা সামান্য কেবলমাত্র তার প্ৰতি মনোযোগ দেওয়াতে আমাদের অতীতের জ্ঞান এক পদও ॐ६ष्ट्र शं१ • । আমাদের পূর্বপুরুষেরা উক্ত পদ্ধতি অনুসারে বেদ এবং বাহ্যিািধৰ্ম্মের সমন্বয় করা অতি গৰ্হিত কাৰ্য্য বলে মনে করতেন। ধৰ্ম্মের সঙ্গে বেদান্তের, ব্ৰাহ্মণের সঙ্গে বৈষ্ণবের, শৈবের সঙ্গে বৌদ্ধের এবং চার্বাকের সঙ্গে মীমাংসকের সমন্বয় করা এ যুগের ধৰ্ম্ম । সে কালের ধৰ্ম্ম, বিরোধের উপরই প্রতিষ্ঠিত ছিল। যাগযজ্ঞাদির প্রতি বাহ ধৰ্ম্মের যেরূপ অশ্রদ্ধা ছিল, চৈত্যবন্দনাদির প্রতি বেদধৰ্ম্মের তদপেক্ষা বেশি অশ্রদ্ধা ছিল। অনেকের বিশ্বাস যে ভগবদগীতায় সর্বধৰ্ম্মের সমন্বয় করা হয়েছিল। কিন্তু এ ধারণা ভুল। কেননা “স্বধৰ্ম্মে নিধনং শ্ৰেয়ো পরোধৰ্ম্ম ভয়াবহ”-এ হচ্ছে গীতারই বচন।। গীতাকারের মতে সমাজের পক্ষে বর্ণসঙ্করের উৎপত্তির চাইতে আর বেশি বিপত্তি নেই। অসবৰ্ণ বিবাহ কি সমাজে কি মনোরাজ্যে ব্ৰাহ্মণদের মতে সমান জঘন্য ও হেয় ছিল। সুতরাং পুরাকালে কোনও সৰ্বধৰ্ম্মসমন্বয়কারী জন্মগ্রহণ করলে ব্ৰাহ্মণের বেণ রাজার প্রতি যে ব্যবহার করেছিলেন তঁর প্রতিও ঠিক সেই ব্যবহার করতেন। তবে যে প্রাচীন ভারতের সকল ধৰ্ম্ম মিলেমিশে খিচুড়ি পাকিয়ে নবীন হিন্দুধৰ্ম্মে পরিণত হয়েছে, তার কারণ পূর্বাচাৰ্য্যেরা সহস্ৰ চেষ্টাতেও যেমন আৰ্য-অনাৰ্য্যজাতির রক্তের মিশ্ৰণ বন্ধ করতে পারেন নি, তেমনি বেদ ও বাহ ধৰ্ম্মের মিশ্রণও বন্ধ করতে পারেন নি । সুতরাং, দেখা গেল যে বেদপন্থীরা যে কারণে স্বধৰ্ম্মের বেদমূলত্ব স্বীকার করেন—সে হচ্ছে theoretical-histori+