লড়াই করিতে পারে। তাহাতে নিজেরও কল্যাণ হয় না, দেশেরও না। কিন্তু এইসমস্ত পুরুষোচিত কাজ-কর্মের দরুণই একদল পণ্ডিতের এমত বিশ্বাসও জন্মিয়া গিয়াছে যে, আদিম যুগে নর-নারীর মধ্যে নারীর স্থানই উচ্চে ছিল। তাহারাই leader of civilizarion, অথচ কেন সংসারে নারীর স্থান এমন উত্তরোত্তর নামিয়া পড়িয়াছে, তাহার কারণ পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অনুসন্ধান করিয়া স্পেন্সর সাহেব স্থির করিয়াছেন, দেশের লোক যত যুদ্ধপ্রিয়, অন্ততঃ আত্মরক্ষার জন্য যাহাদিগকে ঘরে-বাহিরে যত বেশী লড়াই করিতে হইয়াছে, তাহারাই তত বেশী নারীর উপর অত্যাচার করিয়া আসিয়াছে, তত বেশী গায়ের জোর খাটাইয়াছে। নারীর যে স্বাভাবিক কোমলতা ও নম্রতার জন্যই স্বেচ্ছায় এত নির্যাতন এবং অধীনতা স্বীকার করিয়াছে তাহা নহে। তাহারা গায়ের জোরে পারিয়া উঠে নাই বলিয়াই স্বীকার করিয়াছে, পারিলে স্বীকার করিত না। কারণ, দেখা গিয়াছে যেখানে সুবিধা এবং সুযোগ মিলিয়াছে, সেখানে নারী পুরুষ অপেক্ষা এক তিলও কম নিষ্ঠুর বা কম রক্তপিপাসু নয়। এখানে এইটাই দেখিবার বিষয় যে, পুরুষ যদি এই বলিয়া জবাবদিহি করে সে দুর্বলের উপর গায়ের জোর খাটাইয়া কর্তৃত্ব করে নাই, বুঝিয়া-সুঝিয়া ধীর-স্থিরভাবে বিবেচনা করিয়া, কর্তব্য এবং মঙ্গলের খাতিরেই বাধ্য হইয়া নারীর এই নিম্ন স্থান নির্দিষ্ট করিয়া দিয়াছে, তাহা হইলে সে-কথা সত্য নয়।
অবশ্য স্পেন্সরের এই মত সকলেই যে বিনা প্রতিবাদে স্বীকার করিয়া লইয়াছেন তাহা নহে, কিন্তু যতগুলা বিভিন্ন প্রতিবাদ অন্ততঃ আমার চোখে পড়িয়াছে, তাহাতে স্পেন্সরের মতটাই সত্য বলিয়া মনে হইয়াছে। তিনি বলিয়াছেন, “militancy implies predominance of compulsory co-operation”, এবং তাহার অবশ্যম্ভাবী ফলের উল্লেখ করিয়া লিখিতেছেন, “Hence the disregard of woman’s claims shown in stealing and buying them; hence the inequality