Maspero সাহেব প্রাচীন মিশরে নারীর সভ্যতা-প্রসঙ্গে তাঁহার Dawn of Civilisation গ্রন্থে একস্থানে লিখিয়াছেন, মিশরীয় মহিলারা বক্ষ প্রায় অনাবৃত করিয়া রাজপথে বাহির হইতেন—সুতরাং নিশ্চয়ই তাঁহারা যথেষ্ট উন্নত হইয়াছিলেন। যেহেতু “like Europeans they must have coveted public admiration.” ফন্দিটা অব্যর্থ, তাহা অস্বীকার করা চলে না। নিজেদের মহিলা-সম্বন্ধে তিনি অসঙ্কোচে এ-কথা বলিয়া গেলেন, কিন্তু এই admiration কথাটার ঠিক বাঙলা তর্জমা করিতেও আমাদের লজ্জায় মাথা কাটা যায়। যাহা হৌক, আমাদের উত্তরটাও নেহাৎ মন্দ শুনাইল না। “ভিড়ের মধ্যে নাচাইতে পারিব না” এবং “ঘরের কোণে পূজা করি”। সুতরাং কথার লড়াইয়ে তখনকার মত একরকম জিতিয়া যাই এবং মনু-পরাশর মাথায় করিয়া পরস্পরের পিঠ ঠুকিয়া দিয়া ঘরে ফিরিয়া আসি। অবশ্য সাহেবদের কাছে আমি হঠিতে বলি না, কিন্তু ঘরে ফিরিয়া দুই ভায়ে যদি বলাবলি করি “ভায়া, পূজা ত করি, কিন্তু কিভাবে করি বল ত?” তখন কিন্তু এমন অনেক কথাই বাহির হইয়া পড়িবার সম্ভাবনা যাহা বাহিরের লোকের কানে কিছুতেই তোলা চলে না। অতএব আমাদের এটা নিভৃত আলোচনা।
প্রথম, সতীত্বের বাড়া নারীর আর গুণ নাই। সব দেশের পুরুষই এ-কথা বোঝে, কেন না, এটা পুরুষের কাছে সবচেয়ে উপাদেয় সামগ্রী; এবং স্বামীর অবাধ্য হওয়া,—তিনি অতি পাষণ্ড হইলেও—তাঁহাকে মনে মনে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার মত দোষ আর নাই। একটা অপরটার corollary; এই সতীত্ব যে নারীর কতবড় ধর্ম হওয়া উচিত, রামায়ণ-মহাভারত ও পুরাণাদিতে সে-কথার পুনঃ পুনঃ আলোচনা হইয়া গিয়াছে। এ-দেশে এ তর্ক এত অধিক হইয়াছে যে, এ-সম্বন্ধে আর বলিবার কিছু নাই। এখানে স্বয়ং ভগবান পর্যন্ত সতীত্বের দাপটে কতবার অস্থির হইয়া গিয়াছেন; কিন্তু সমস্ত তর্কই একতরফা—একা নারীরই জন্য। পুরুষের এ-সম্বন্ধে যে বিশেষ কোন বাধ্য-বাধকতা