বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

পাঠশালায় বিদ্যার্জ্জন করিতে প্রয়াসী। তাঁহাদের পক্ষে ইহা একটা সত্যযুগ বৈ কি? কাজেই কেহ আমাকে একটা রুমাল, কেহ বা একটা ডবল পয়সা, ইত্যাদি উপহার দিতে লাগিলেন।

 আমি যাত্রা করিলাম। মাতাকে অত্যন্ত অসুস্থ ও রুগ্ন অবস্থায় দেখিয়াই যাইতে হইল। সঙ্গে একটা থলে। তাহার মধ্যে কাপড় চোপড় ভরিয়া লইলাম। তখন ওয়েষ্ট ভার্জ্জিনিয়া হইতে ভার্জ্জিনিয়ায় যাইবার রাস্তায় খানিকটা রেলপথ ছিল। অবশিষ্ট রাস্তা ভাড়াগাড়ী করিয়া যাইতে হয়।

 ম্যাল্‌ডেন হইতে হ্যাম্পটন ৫০০ মাইল। অতদূর যাইবার পথ-খরচ আমার নাই। একদিন পাহাড়ের রাস্তায় ভাড়াগাড়িতে করিয়া যাইতেছিলাম। সন্ধ্যার পর গাড়ী একটা সাদা বাড়ীর নিকট থামিল। বুঝিলাম এটা হোটেল, আমার সহযাত্রীরা সকলেই শ্বেতকায়, আমিই একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ নিগ্রো। তাঁহারা সকলেই একে একে নামিয়া এক একটা কামরা দখল করিয়া বসিলেন। হোটেলের কর্ত্তা তাঁহাদের জন্য আয়োজন করিতে লাগিলেন। তাঁহাদের আহারের ব্যবস্থা হইতেছে এমন সময়ে ভয়ে ভয়ে আমি হোটেলের কর্ত্তার নিকট উপস্থিত হইলাম। আমার হাতে এক আধ্‌লাও ছিল না। ভাবিয়াছিলাম গৃহস্বামীর নিকট ভিক্ষা করিয়া রাত কাটাইয়া দিব। সেই সময়ে ভার্জ্জিনিয়ার পার্ব্বত্য প্রদেশে হাড়ভাঙ্গা শীত। ভাবিয়াছিলাম নিশ্চয়ই হোটেলের এক কোণে আশ্রয় পাইব। কিন্তু আমার কাল চাম্‌ড়া দেখিবামাত্রই আমার প্রতি কঠোর আদেশ হইয়া