বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৮
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

মৃত্যুকাল পর্য্যন্ত তাঁহাকে আমি আত্মীয় বিবেচনা করিবার সুযোগ পাইয়াছি। ক্রমশ‍ই তিনি আমার জ্ঞানে মহৎ হইতে মহত্তররূপে অধিকতর শ্রদ্ধা, ভক্তি ও পূজার পাত্র হইয়াছিলেন।

 যতই আমার বয়স বাড়িতেছে ততই আমি বিবেচনা করিতেছি যে, ‘মানুষ’ গড়িবার জন্য গ্রন্থপাঠের ব্যবস্থা করিবার আবশ্যকতা বেশী নাই। পুঁথি-কেতাব, খাতা-পত্র, লাইব্রেরী, কল-কব্জা, ল্যাবরেটরী ইত্যাদি সাজ-সরঞ্জাম—এ সব হইতে ছাত্রেরা বেশী কিছু শিখিতে পায় না। এই নির্জ্জীব পদার্থগুলি মানুষের মনুষ্যত্ব গজাইয়া দিতে, বিশেষ সমর্থ নয়। আমি হ্যাম্পটনে থাকিবার কালে ভাবিতাম যে, এই বিদ্যালয় হইতে বাড়ী-ঘর, হাতিয়ার-যন্ত্র, খাতা-পত্র, ইট-কাঠ, বেঞ্চ-টেবিল, ইত্যাদি সবই যদি সরাইয়া লওয়া হয়, তাহা হইলেও বিদ্যালয়ের কিছু মাত্র অঙ্গহানি হইবে না। কারণ এই বিদ্যালয়ের প্রাণদাতা, এই বিদ্যালয়ের প্রাণ-প্রতিষ্ঠাতা, এই বিদ্যালয়ের পিতা স্বরূপ পরিচালক, আর্মষ্ট্রঙ্গ মহোদয় একাকীই এই সমুদয় সাজসরঞ্জাম অপেক্ষা মূল্যবান্। তাঁহার নিকট নিগ্রো বালকেরা একবার করিয়া রোজ আসিতে পারিলেই তাহাদের সর্ব্বোচ্চ শিক্ষালাভের মুফল ফলিবে। আজও আমি সেই কথা বলিতেছি, প্রকৃত চরিত্রবান সমাজসেবক শিক্ষাপ্রচারকের সঙ্গে সহবাস করিতে পাইলে যতখানি চরিত্র গঠিত হয়, মনের তেজ বাড়িতে থাকে, চিত্তের শক্তি বিকশিত হয়, কর্ম্মক্ষমতার উন্মেষ হয়, সৌজন্য-শিষ্টাচার অর্জ্জিত হয়, অন্য কোন উপায়ে তাহা হইতে পারে না। আমা-