বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিদ্যার্জ্জনে কঠিন প্ৰয়াস
৫৯

দের তথাকথিত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি হইতে গ্রন্থ-পাঠের আড়ম্বর কমিয়া যাইবে না কি? আমাদের শিক্ষা-ক্ষেত্রের কর্ম্মীরা সমগ্র জগতের কাজ-কর্ম্মের মধ্যে রাখিয়া বালক-বালিকাদিগকে মানুষ করিয়া তুলিতে চেষ্টা করিবেন না কি?

 সেনাপতি আর্মষ্ট্রঙ্গ মৃত্যুর পূর্ব্বে দুইমাস কাল আমার টাস্কেজী বিদ্যালয়ে কাটাইয়াছিলেন। তখন তিনি পক্ষাঘাতে ভুগিতে ছিলেন। সর্ব্বাঙ্গ শিথিল হইয়া গিয়াছিল। তথাপি শেষ মুহূর্ত্ত পর্য্যন্ত তিনি তাঁহার শিক্ষাপ্রচার-ব্রতে লাগিয়াই ছিলেন। কাজের মধ্যে নিজকে ডুবাইয়া ফেলিতে পারে—এরূপ লোক সংসারে বিরল। কিন্তু আর্মষ্ট্রঙ্গ নিজকে সম্পূর্ণ ভুলিতে পারিতেন—আত্মমুখী চিন্তা তাঁহার বিন্দুমাত্র ছিল না। পরসেবাই তাঁহার একমাত্র ধর্ম্ম ছিল। তিনি হ্যাম্পটন বিদ্যালয়ের জন্য এতদিন যাহা করিয়াছেন আমার টাস্কেজী বিদ্যালয়ের জন্যও সেইরূপ খাটিতে লাগিলেন। কেবল তাহাই নহে। আমাদের অঞ্চলে যেখানে যেখানে নিগ্রোসমাজে শিক্ষা-বিস্তারের প্রয়োজন, সেই সকল স্থানের জন্যও তিনি শক্তি প্রয়োগ করিতে আরম্ভ করিলেন। সকল কার্য্যেই তাঁহার সমান আনন্দ। তিনি নিজকে বিসর্জ্জন দিতে শিখিয়াছিলেন—আদর্শের মধ্যে তন্ময় হইতে পারিয়াছিলেন। এজন্য তাঁহার কর্ম্মক্ষেত্রের অভাব হইত না। যখন যেখানে থাকিতেন তখন সেইখানেই তাঁহার আত্মত্যাগী সাধনার কার্য্য চলিতে থাকিত। এখানে আমার কর্ম্মক্ষেত্র, ওটা তোমার কর্ম্মকেন্দ্র, এই আমার গণ্ডী, ঐ পর্য্যন্ত তোমার গণ্ডী—তাঁহার