বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিদ্যার্জ্জনে কঠিন প্রয়াস
৬৩

করিলে যে কত উপকার হয়, শরীর ও স্বাস্থ্যের কত উন্নতি হয়, চিত্তের প্রফুল্লতা বাড়িতে থাকে—তাহা আমি পূর্ব্বে বুঝিতাম না। তখন হইতে আমি প্রতিদিন স্নান করিয়া আসিতেছি। মাঝে মাঝে এমন অনেকের বাড়ীতে অতিথি হইতে হইয়াছে, যেখানে স্নান করিবার ব্যবস্থা নাই। আমি সেখানে নিকটবর্ত্তী কোন নদী বা ঝরণায় যাইয়া স্নান করিয়া পরিষ্কার হইয়াছি। নিগ্রোজাতিকে আমি সর্ব্বদাই বলিয়া থাকি, বাড়ী তৈয়ারী করিতে হইলেই স্নানাগারও যেন প্রস্তুত করা হয়।

 হ্যাম্পটনে আমার দুইটি মাত্র গেঞ্জি ছিল—ময়লা হইয়া গেলে আমি রাত্রে সাবান দিয়া কাচিয়া আগুনে শুকাইয়া লইতাম। পরদিন সকালে তাহা ব্যবহার করিতাম।

 হ্যাম্পটন বিদ্যালয়ের বোর্ডিংএ খাওয়া খরচ মাসিক ৩০৲ টাকা। অমি যে খান্সামার কাজে নিযুক্ত হইয়াছিলাম তাহাতে সমস্ত আয় হইত না—সুতরং আমাকে মাসে মাসে নগদ টাকাও কিছু কিছু দিতে হইত। প্রথমে যখন ভর্ত্তি হই, তখন হাতে ১॥৴৹ মাত্র ছিল। আমার দাদা ক্বচিৎ কখনও ২।৪৲ টাকা পাঠাইতেন। কিন্তু তাহাতে আমার খাই খরচের জন্য দেয় টাকা কুলাইত না।

 কাজেই আমি খান্সামাগিরি এত ভাল করিয়া করিতে লাগিলাম যে, শেষে আমি খাইখরচের সমস্ত টাকাই বেতনস্বরূপ পাইতাম। বিদ্যালয়ের বেতন ছিল বার্ষিক ২১০৲ টাকা। এতটাকা আমার সংগ্রহ করা অবশ্যই অসম্ভব ছিল। আর্মষ্ট্রঙ্গ