বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬২
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

সকালে আসিয়া দেখিতেন—আমরা হাস্যমুখে প্রফুল্লচিত্তে শীত সহ্য করিতেছি।

 আর্মস্ট্রঙ্গের কথা এত করিয়া বলিবার কারণ আছে। আমি সকলকে জানাইতে চাহি যে, এরূপ চরিত্রবলে বলীয়ান শিক্ষাপ্রচারকগণের প্রয়াসেই আমেরিকার নিগ্রোসমাজে জ্ঞানালোক প্রবেশ করিয়াছে। আর্মষ্ট্রঙ্গের আদর্শে বহু শ্বেতাঙ্গ শিক্ষিত নরনারী কৃষ্ণকায় সমাজে শিক্ষা প্রচারব্রত গ্রহণ করিয়া আমার স্বজাতিকে উন্নতির পথে তুলিয়াছেন। জগতে এই নীরব নিঃস্বার্থ কর্মবীরগণের জীবনচরিত এখনও প্রকাশিত হয় নাই।

 হ্যাম্পটনে প্রতিদিনকার প্রতি কর্ম্মেই, প্রত্যেক উঠা-বসায় আমি একটা নূতন কিছু শিখিতেছিলাম। সেখানকার জীবনযাত্রা-প্রণালী এবং নিত্য কর্ম্ম-পদ্ধতি আমাকে নানা ভাবে শিক্ষিত করিতেছিল। যথাসময়ে নিয়মিতরূপে খাইতে হয়, এখানে আমি তাহা প্রথম উপলব্ধি করিলাম। টেবিলের উপর কাপড় বিছাইয়া তাহার উপর থালা বাটি রাখিতে হয়—ইহাও আমি জীবনে প্রথম শিখিলাম। খাইতে বসিয়া কিরূপ ব্যবহার করিতে হয়, কোন্ খাদ্যের পর কোন্ খাদ্য লওয়া উচিত—ইত্যাদি আরও অনেকানেক বিষয়ে আমার প্রথম অভিজ্ঞতা জন্মিল। বিছানার উপর চাদর দেওয়াও আমি পূর্ব্বে আর কোন দিন দেখি নাই। এইরূপে দৈনিক জীবন-যাপনের প্রায় সকল কর্ম্মেই হ্যাম্পটনে আমার ‘হাতে খড়ী’ হইল!

 হ্যাম্পটনেই আমি আবার স্নান করিতেও শিখি। স্নান