বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হ্যাম্পটনে জীবন গঠন
৬৯

কাজ করি—সুতরাং উহা আমারই প্রাপ্য।” এই বলিয়া তিনি ৩০৲ টাকার নোট পকেটস্থ করিলেন। আমি কিছু পাইলাম না।

 এত কষ্টে পড়িলে হতাশ হইবারই কথা। কিন্তু উহা কাহাকে বলে আমি তাহা জানিই না। জীবনের কোন অবস্থাতেই আমি এখন পর্য্যন্ত নৈরাশ্য আস্বাদ করি নাই। যখনই যে কাজ ধরিয়াছি, আমার বিশ্বাস থাকিত যে আমি তাহাতে কৃতকার্য্য হইবই। সুতরাং যাঁহারা বিফলতার আলোচনা করেন, তাঁহাদের সঙ্গে আমার কোন দিনই মতে মিলে না। কৃতকার্য্য কি উপায়ে হওয়া যায় একথা যিনি বুঝাইতে পারেন আমি তাঁহারই ভক্ত। বিফলতা কেন হয়—একথা যিনি বুঝাইতে আসেন আমি তাঁহার কাছে ঘেঁসি না।

 ছুটির শেষে বিদ্যালয়ে গেলাম। কর্ত্তৃপক্ষকে বলিলাম—“ধার শোধ করিবার ক্ষমতা এখনও আমার হয় নাই—স্কুলে প্রবেশ করিতে পারি কি?” খাজাঞ্জি ছিলেন সেনাপতি মার্ণ্যাল। তিনি সাহস দিয়া বলিলেন, “তোমাকে এ বৎসর ভর্ত্তি করিয়া লইলাম। তুমি একদিন না একদিন আমাদের ঋণ শোধ করিতে পারিবে—আমার বিশ্বাস আছে।” দ্বিতীয় বৎসরও পূর্ব্বের ন্যায় আমি খান্‌সামাগিরি করিতে করিতে এখানে লেখাপড়া শিখিতে থাকিলাম।

 হ্যাম্পটন-বিদ্যালয়ে বই পড়ানও হইত বটে, কিন্তু পুস্তক পাঠ অপেক্ষা অন্যান্য অসংখ্য উপায়েই আমি ওখানে বেশী শিক্ষা লাভ করিয়াছি। দ্বিতীয় বৎসরে আমি শিক্ষকগণের স্বার্থত্যাগ ও