বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭০
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

চরিত্রবত্তা দেখিয়া বিশেষ উপকৃত হইয়াছিলাম। তাঁহারা নিজের কথা না ভাবিয়া কেবল মাত্র পরের কথাই ভাবিতেন। তাঁহাদের জাতিমর্য্যাদা ছিল, বংশগৌরব ছিল, বিদ্যার সম্মান ছিল; সমাজে যথেষ্ট প্রতিপত্তিও ছিল। তাঁহারা ইচ্ছা করিলে নিজের আর্থিক উন্নতি যথেষ্ট করিতে পারিতেন—সংসারে নূতন নূতন যশোলাভের সুযোগও তাঁহাদের কম ছিল না। কিন্তু তাঁহারা সে সকল দিকে দৃষ্টিপাত করিতেন না—আমাদের অবনত কৃষ্ণকায় সমাজকে বিদ্যায়, ধনে ও ধর্ম্মে উন্নত করিবার জন্য জীবন সমর্পণ করিয়াছিলেন। এই কর্ম্মেই তাঁহাদের একমাত্র সুখ ছিল। দ্বিতীয় বৎসরের বসবাসের ফলে আমি শিখিলাম যে পরোপকারী ব্যক্তিই একমাত্র সুখী। যাঁহারা অন্য লোককে নানা উপায়ে সুখী ও কর্ম্মঠ করিয়া তুলিতেছেন তাঁহাদের অপেক্ষা সুখী লোক সংসারে আর নাই। এই শিক্ষা আমার জীবনে কখনও নষ্ট হইবে না।

 হ্যাম্পটনে আমি পশুপক্ষী জীবজন্তু ইত্যাদি সম্বন্ধে খুব ভাল রকম জ্ঞান লাভ করি। এখানকার কৃষিবিভাগের জন্য অতি উত্তম জাতির পশুপক্ষী আমদানি করা হইত। ঐ গুলিকে পালন করিবার ব্যবস্থাও অতি উন্নত ধরণের ছিল। এই সকল কাজে আমরা অভ্যস্ত হইতাম—তাহাতে কৃষিকর্ম্ম, পশুপালন, জীব বিদ্যা, প্রাণি-তত্ত্ব ইত্যাদি বিষয়ে বেশ কার্য্যকরী শিক্ষা হইয়া গিয়াছিল। তাহার ফলে আজ পর্য্যন্ত আমি জীবজন্তুর ভাল মন্দ বাছিয়া লইতে সমর্থ। ছেলে বেলা হইতে ভাল ভাল জানোয়ার