বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হ্যাম্পটনে জীবন গঠন
৭৫

 মাতার মৃত্যুর পর আমাদের গৃহস্থালী বিশৃঙ্খলতা পূর্ণ হইয়া গেল। ভগ্নীটি ছোট—সে সকল দিক দেখিয়া উঠিতে পারিত না। আমাদের কোন দিন খাওয়া জুটিত কোন দিন জুটিত না। তাহার উপর আবার আমার চাকরী নাই। এই দুঃখের দিনে রাফ্‌নার পত্নী আমাকে একটা কাজ দিলেন। তাহাতে কিছু পয়সা হইল। তাহার দ্বারা হ্যাম্পটনের পথ খরচের ব্যবস্থা হইয়া গেল। ইতিমধ্যে আমার দাদা একআধটা জামা সংগ্রহ করিয়া আনিলেন।

 স্কুল খুলিতে আরও তিন সপ্তাহ বাকী। এমন সময়ে প্রধান শিক্ষয়িত্রী, কুমারী ম্যাকি আমাকে পত্র দ্বারা জানাইলেন যে, আমাকে সপ্তাহ মধ্যেই ফিরিতে হইবে, এবং ফিরিয়া বাড়ীঘর পরিষ্কার করিয়া রাখিতে হইরে। এই পত্র পাইয়া আমি যার পর নাই সন্তুষ্ট হইলাম। কারণ ইহাতে যে বেতন পাওয়া যাইবে তাহার দ্বারা স্কুলের খরচ অগ্রিম কিছু দেওয়া হইয়া থাকিবে। আমি দেরী না করিয়া হ্যাম্পটনে রওনা হইলাম।

 পৌঁছিয়াই দেখি ইয়াঙ্কি রমণী নিজেই দরজা জানালা বেঞ্চ টেবিল ইত্যাদি পরিষ্কার করিতে আরম্ভ করিয়াছেন। তাঁহার কাজ কর্ম্ম দেখিয়া আমি দুইটি শিক্ষা লাভ করিলাম। প্রথমতঃ অতি সম্ভ্রান্ত বংশীয়া এবং উচ্চ শিক্ষিতা রমণীরাও দাসদাসীর ন্যায় শারীরিক পরিশ্রম করিতে কুণ্ঠিত নহেন। দ্বিতীয়তঃ, কোন প্রতিষ্ঠানের কর্ত্তা হওয়া মুখের কথা নয়। তাহার জন্য দায়িত্ব যথেষ্ট। কুমারী ম্যাকির দায়িত্ব জ্ঞান খুব বেশী ছিল। তিনি