পাতা:নির্জ্জন গৃহকোণে.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নি জঁ ন গৃহ কোণে ব্যথা ক্রমশঃ কমে যায়, নিম্প্রাণ শক্তিহীন দেহ নিয়ে মলিন চুপ করে শুয়ে শুয়ে ভাবে, একটা নাস থাকলে হয়ত ভালো হোত, আজ শৈলপতি এলে বলবে । সন্ধ্যার পর শৈলপতি ফিরল, উচ্ছসিত উংসাহে সারা বাড়ি সচকিত করে তোলে—চীৎকার করে ওঠে—কেমন আছো গো রাণী ! আজি যা আধুর পেয়েছি ফষ্ট ক্লাস । মলিনার জীবনে যেন সৌভাগ্য-স্বৰ্য্যোদয় হ’ল, সব ভুলে গেল মলিন, যন্ত্রণার কথা, রোগের কথা, নাসের কথা । শৈলপতি মলিনার রুক্ষ চুলগুলিতে হাত বুলিয়ে দিতে লাগল, আর মলিনা ক্ষীণকণ্ঠে বল্লে — কত কষ্টই না তোমায় দিচ্ছি ! —কষ্ট কি রাণী ! তুমি সেরে উঠলেই আমার সুখ তুমি চুপ করে শোও, একজন বন্ধু এসেছেন, একটু চা-টা করে দিই। স্তিমিত হয়ে আসে মলিনা | পাশের ঘরের কলহস্ত, কথার ভগ্নাং মলিনার কানে ভেসে আসে, কত অবাস্তর অসংলগ্ন কথা, ম্যালেরিয়া থেকে মহাযুদ্ধ, কি উত্তেজনা ! কিন্তু রুগ্ন স্ত্রীর পরিচর্য্যায় যার দিন কাটে তার জীবনে উত্তেজনার উৎসাহ কোথায়, কোথায় পাবে সে অফুরান্ত আয়ু, চেতনাময় যৌবন ! সেদিন সকালে যখন শশিশেখরবাবু এলেন, শৈলপতি তখন কোথায় যেন বেরিয়েছে, সেই অবসরে মলিন ডাক্তারবাবুকে প্রশ্ন করলে, সেরে ত উঠলাম না ; মৃত্যু কবে হবে বলতে পারেন ? ডাক্তারবাবু হেসে বল্পেন—আমি ত মা ভগবান নই, মৃত্যুর কথা কি করে বলি বল ?