পাতা:নির্জ্জন গৃহকোণে.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নি জঁ ন গৃহ কোণে অসহায় শিশুর মতো কাদতে লাগল মলিনা । কুড়িতেই শুখিয়ে গেল ফুল, পাপড়ি ঝরে গেল, ফোটার অবসর নেই। বিছানার ধারে মলিনা পৌছতে পারলে না, দক্ষিণের জানলার ধারে ক্ষীণ মুঠতে চেয়ারটা ধরে মলিন বসে পড়লো, ব্যথায় যন্ত্রণায় সারা দেহ তার এখনই ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। মলিনার চোখে আর জল নেই, ব্যথার যন্ত্রণায় কাদবারও তার শক্তি নেই, আতঙ্কের স্নায়ুকেন্দ্র থেকে ব্যথার দুঃসংবাদ প্রতিধ্বনিত হয়ে সারা দেহের স্নায়ু-শিরায় সংঘর্য সুরু করেছে। অসহ বেদনায় শতধা বিভক্ত হয়ে পড়লে মলিনার রোগজীর্ণ দেহ । বাইরে গজ্জন করছে বর্ষা-বিস্ফারিত নদী । কোনো সংযোগ নেই ওদের মলিনার জীবনের সঙ্গে, তবু যেন ওরা একই স্থত্রে জড়িয়ে পড়েছে। এতক্ষণে সদর দরজা খোলার আওয়াজ হ’ল, জয়ন্তী ফিরলো তাহলে, পরম নিভীরতায় সাময়িকভাবে বেদনার তীব্রতা কমলো । অৰ্দ্ধ-অচেতন মলিনা নিস্পন্দের মতো পড়ে আছে । পায়ের ধ্বনি ক্রমশঃই এগিয়ে এল,—রাণী কি খবর ? জয়ন্তী নয় শৈলপতি ফিরলো । মুখে কথা বেরোল না, নড়বার ক্ষমতা নেই মলিনার । শৈলপতি ঘরে ঢুকে দেখলে—চেয়ার ধরে মেঝেয় পড়ে আছে মলিন, তার ধূসর রুক্ষ চুলগুলি পিছনে ভেঙে পড়েছে, লুটিয়ে পড়েছে তার বিস্রস্ত কাপড় আর দেহ, রক্তহীন পাংশু মুখে তীব্র ব্যথা ও অসহ্য >●