পাতা:নির্জ্জন গৃহকোণে.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নি জর্জ ন গু হু কোণে ফোটে—সেই তার সার্থকতা, নদীর জল তট-ভূমিতে আছাড় খেয়ে আহত আনন্দে অভিভূত হয়—সেই তার সার্থকতা ! / সাগরতরঙ্গের উদাম উচ্ছ্বাস অন্তরে অনুভব করলে মলিনা । সেই মুহূৰ্ত্তেই মনে হলে যেন তার নিশ্বাস আটকে আসছে। আতঙ্কে শিউরে উঠলে মলিনা । জয়ন্তী, জয়ন্তী ! কোনো সাড়া নেই, রুদ্ধ ঘরের বাইরে পৌছলো না সে আওয়াজ ; প্রতিধ্বনি ফিরে এলো, জয়ন্তী, জয়ন্তী ! আর একটু অপেক্ষা করলে মলিনা, কোনই সাড়া নেই। হয়ত জয়ন্তী কলঘরে আছে । খাট ধরে আস্তে আস্তে মেবোয় নেমে এলো মলিনা, তারপর দেয়াল ধরে ধরে ঘরের বাইরে এসে দাড়ালো । ছ’ মাসের মধ্যে এই প্রথম ঘর ছেড়ে বেরুলো মলিনা । জয়ন্তী ! রুগ্ন কণ্ঠে জোর নেই, অবসন্ন হয়ে মলিনা আবার ডাকলে, জয়ন্তী ! মৃত দেয়ালের গায়ে আহত হয়ে ধ্বনি ফিরে এলো। রান্নাঘরে, দালানে, কলঘরে কোথাও জয়ন্তী নেই, কেউ নেই । মলিনার পায়ের নীচের মাটি সরে গেল ! মলিনা শেষবার ডাকলে জয়ন্তী ! অসীম শূন্তে মিলিয়ে গেল ক্ষীণকণ্ঠের প্রতিধ্বনি। শুধু দুরন্ত নদীর জল-কল্লোল সেই নির্জন গৃহকোণে ভেসে এলো । প্রবল হয়ে উঠলো বুকের ব্যথা, সজোরে দুৰ্ব্বল আঙুল দিয়ে বুকটা চেপে ধরলে মলিন, এখনই ঘরে ফিরতে হবে, কিন্তু এটুকু পথ ফিরে যাবার ক্ষমতা তার আর নেই, কান্নায় মলিনার চোখ ঝাপসা হয়ে এলো X 8