পাতা:নির্জ্জন গৃহকোণে.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নি জঁ ন গৃহ কোণে আবার লাথি মেরে হট ওয়াটার ব্যাগ ফেলে দিয়ে রোগশয্যা থেকে ভবতারণ বল্লেন—বলবো, পুলিনকে একদিন সব বলবো— নিজের বুকটি চেপে ধরে উত্তেজিত সুরবালা বল্লে—কখনই না, কি বলবে তুমি ? ” প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করতে করতে আবার বল্লে ভবতারণ–একদিন কিন্তু বলবো ! এই কথা চিরদিন সুরবালাকে শঙ্কিত করে এসেছে । উভয়েরই বয়স প্রৌঢ়ত্বের প্রান্তসীমায় পৌছেচে, স্থূলকায় রুগ্ন ভাই ভবতারণ দীর্ঘকাল ধরে ধারাবাহিক অতুযোগ ও ভীতিপ্রদর্শন করে প্রায় সমবয়স্ক বোন স্বরবালাকে সশঙ্কিত করে রেখেছে। স্বরবালা স্নানমুখে ভবতারণের রোগশয্যার পাশে দাড়িয়ে নানাবিধ কটু কথা শুনে যায় এবং যথাসম্ভব অনুনয় করে উত্তর দিয়ে রুগ্ন ভাইটিকে শাস্ত রাখবার চেষ্টা করে । কিঞ্চিৎ সাহস সঞ্চয় করে একটু ইতস্তত: করে স্বরবালা বল্লে—এই ত’ পরশু দিন যখন তোমার জন্যে সুরুয়া তৈরী করছিলুম, তুমি বল্লে একদম আলুনী হয়েছে, মুন নেই একটুও ! —ছিল না তাই বলেছি !—তারপর মশারির দিকে চেয়ে কতকটা আত্মগত ভাবেই ভবতারণ বল্লেন—এতদিন রান্না করেও স্বরুয়ায় কতটুকু মুন দিতে হবে তাও শিখলে না, বেশীও নয়, কমও নয়, ঠিক যতটুকু দরকার । হা ভগবান ! দীর্ঘশ্বাস ফেলে অসম সাহসে ভর করে স্বরবালা আবার বল্লে—বেশ যদি বল ত আমি না হয় মুন না দিয়ে সুরুয়া তৈরী করে দেব, তুমি ঠিক করে মুন দিয়ে নিও । * ভবতারণ হুঙ্কার দিয়ে উঠলেন—যেমন বুদ্ধি তোমার, হুন না দিয়ে রাধবেন, তুন পরে মেশালে চলে না, রান্নার সময়েই দিতে হয়, সকলেই >bア 壘