नि खै न श्रृं श् प्को प्। একথা জানে, রোগীর মেটাবলিজমের ওপর তা’র কেমিক্যাল এ্যাকসন কি হয় তা’র খবর রাখো, কিই-বা জানো, মেটাবলিজমে তোমার আর কি এসে যায় । এই জাতীয় অনেক কথা দীর্ঘকাল ধরে ভবতারণ বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে শুনে শিখেছেন, সময় বুঝে এক-একটা অব্যর্থ প্রয়োগে সুরবালাকে একেবারে মাটিতে মিশিয়ে দেন । স্বরবালা তবু ভয়ে ভয়ে বলে—আমি তোমার মেটাবলি জানি । দৃঢ়কণ্ঠে ভবতারণ বলে উঠলেন–ছাই জানে—কিছু জানো না, এতদিন শেখা উচিত ছিল অনেক কিছুই, কখনও এক লাইন খবরের কাগজ পড়ে ? কত কি ঘটে যাচ্ছে তা'র খবর রাখে ? তোমার এই মূৰ্খতার হাতেই আমার মৃত্যু হ’বে । —সাধ করে কি আর করছি, না এ আমার ইচ্ছে ! সুরবালা জবাব দেয় । —নিশ্চয়ই সাধ করে, চেষ্টায় কি না হয়, চেষ্টা করেছ’ কখনও ! ভবতারণ চীংকারে যেন বিস্ফারিত হয়ে গেলেন, বাইরের বারান্দায় বেরালট কুণ্ডলী পাকিয়ে রোদুরে শুয়েছিল, সে একবার লেজটি উচু করে ভবতারণের বিছানার চারপাশে ঘুরে গেল। বাচ্ছা অবস্থা থেকে এই জাতীয় মধুর চীংকারে সে অভ্যস্ত, কিন্তু এ’ বিষয়ে তা’র অভিমত জানবার কোনও উপায় নেই। মনুষ্য-সমাজের ওপর তার যেন কতকট অবজ্ঞা ও উপেক্ষার ভাব বৰ্ত্তমান, তার মার্জারীয় আভিজাত্যের উচ্চতায় সে এসব ব্যাপারের অনেক উদ্ধে বিচরণ করে, সুতরাং এই ব্যাপারে তার এমন নিলিপ্ত নিস্পৃহভাব । বেরালটিকেও স্বরবালাকে নিজের হাতে খাওয়াতে হ’বে । বাড়িতে Σ. δ)
