পাতা:নির্জ্জন গৃহকোণে.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নি জঁ ন গৃহ কোণে —তোমার, অামার, আমাদের সবায়ের কথা ভেবে হাসছি। আবার হেসে ফেটে পড়লো সুরবালা । ,خصي রাগে উন্মত্ত হ’য়ে ভারী দেহের অৰ্দ্ধাংশ খাট থেকে নামিয়ে সুরবালাকে শাসিয়ে ভবতারণ বল্লেন— হাসি-টাসি চলবে না, ওতে আমার কষ্ট হয়, না থামলে আমি সব কথা পুলিনকে বলে দেব ! শাস্ত-সমাহিত ভঙ্গীতে হেসে সুরবালা বল্লে—বেশত বোলো । বিস্ময়ে অবাক হ’য়ে রইলেন ভবতারণ, সুরবালার কথা তার যেন বিশ্বাস হয় না, তীক্ষকণ্ঠে ভবতারণ বল্লেন—আমাকে মেরে ফেলবে, তুমি আমার বোন ! একথার কোনও উত্তর দিলেন ন সুরবালা । অবশেষে সুরবালা অপেক্ষাকৃত উত্তেজিত কণ্ঠে বল্লে— কেন হেসেছি জানো, আজ আমি বুঝেছি, আমি দ্বিচারিণী নই, আসলে তুমিই চরিত্রহীন । নিজের চরিত্রের কথা তোমাকে পীড়িত করে তোলে, তাই তুমি অক্ষম আক্ৰোশে আমাকে এতকাল পীড়ন করে এসেছ, আর আমি তোমাকে ভয় করিনা দাদা । বিশ্রী চীংকার করে বিছানা থেকে নেমে পড়লেন ভবতারণ ; তারপর পুলিনের কানের কাছে গিয়ে বল্লেন,—জানো, তোমার স্ত্রী, আমার বোন সুরে, দ্বিচারিণী । তন্দ্রার ঘোর ভাল করে কাটেনি পুলিনের—সে বল্লে হু । ভবতারণ বলতে লাগলেন—১২৯৭ সালে গুণ্ডার ওকে ধরে নিয়ে গিছ,ল । উন্মত্ত উত্তেজনায় ভবতারণের রুগ্ন শরীর অবসর হয়ে পড়ল, কথাগুলো বলবার সময় তার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল, ২৬ \こ