পাতা:নির্জ্জন গৃহকোণে.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খাচার পার্থী গৃহ প্রবেশের দিন থেকেই নিরঞ্জন রাসবিহার এ্যাভিত্যুর এই ফ্ল্যাট্রটিতে বাস করেছে। আলিপুর কোর্টে এতদিনে নিরঞ্জন যা হোক তৰু কিছু নাম করছে, প্রয়োজনের পরিমাপে অর্থের পরিমাণও তেমন অকিঞ্চিৎকর নয়, অভাব তেমন কিছুরই নেই, শুধু যদি তার একটি ছেলে কিংবা মেয়ে থাকতো । একথা মনে মনে ভাবলেও নিরঞ্জন সুমিত্রাকে কোনদিন বলেনি, স্থমিত্রা নিজেই যেন লজ্জিত হয়ে আছে, নিরঞ্জনের দুঃখ সুমিত্রার জন্য, কি ভয়াবহ নিঃসঙ্গতার মধ্যেই না বেচারীর দিন কাটে । বৈচিত্র্যের অভাবে সুমিত্রার ব্যবহার আজকাল অনেকটা যান্ত্রিক হয়ে এসেছে, যদিও তার মধ্যে আন্তরিকতার উষ্ণতার অভাব নেই তবুও কেমন যেন গতানুগতিক। কোটে যাবার আগে সে নিরঞ্জনকে কোট পরিয়ে দেবে, নিজ হাতে টাই বেঁধে দেবে, দরকারী কাগজপত্র এ্যাটাসে কেসে ভৰ্ত্তি করে হাতের কাছে গোছ করে রেখে দেবে, চুলগুলি ব্রাস করবার আগে কানের পাশ থেকে দু চারগাছা রূপালি চুলও মাঝে মাঝে সে খুজে বার করে, তারপর মোজা ও জুতা পরিয়ে দিয়ে তবে সুমিত্রার ছুটা । সিড়ি পর্য্যন্ত নিরঞ্জনের সঙ্গে গিয়ে চুপ করে দাড়িয়ে থাকবে— આ જે