নি জর্জ ন গৃহ কোণে যতক্ষণ না ভারী জুতার আওয়াজ মিলিয়ে যায়, ততক্ষণে সুমিত্রা জানালার পাশে গিয়ে দাড়িয়েছে । নিরঞ্জন হেসে বলতে সেকালে রাজারা যখন যুদ্ধে যেতেন তখন রাণীরা বীর বেশে রাজাকে সাজিয়ে দিতেন, তুমিও দেখছি তাই করলে। স্থমিত্রা বলে উঠতো কোনখানটা তোমার যুদ্ধ নয় বলতে, হাকিমকে জয় করা কি সহজ নাকি, সেকালে ছিল সশস্ত্র কাটাকাটি, এখন নিরস্ত্র কথা নিয়ে অহিংস কাটাকাটি । সুমিত্রা দেখতে লাগল, বালীগঞ্জের দিক থেকে একটা ট্রাম আসছে অনেক করে নিরঞ্জনের একটু বসবার জায়গা হোল, নিরঞ্জন ওপরের দিকে তাকাবার আগেই ঘণ্টা বাজিয়ে ট্রাম ছেড়ে দিয়েছে, ট্রাম ক্রমশঃ মিলিয়ে গেল । এতক্ষণে সুমিত্রার অবসর হোল—অখণ্ড অবকাশ । সুমিত্র ঘরে ফিরে এলো । সুসজ্জিত ঘরখানি, সুনিপুণ হাতের স্পশে ঘরের কোনো জিনিষটি স্থানচ্যুত হয়ে নেই, অতিথি এলে এদের পরিচ্ছন্ন পারিপাট্যে বিস্ময় প্রকাশ করতেই হবে । ঘড়ির কাটার মতো নিয়মিতভাবে স্থপরিচ্ছন্ন ও সুসজ্জিত ঘরটিকে পরিচ্ছন্নতর করবার মূলে আছে সুমিত্রার অদম্য আগ্রহ । তারপর নিঃসঙ্গ সুমিত্রা কোনও প্রকারে স্নানাহার সেরে বসবার ঘরে ফিরে এলো। সামান্ত কয়েকটি মুহূৰ্ত্ত অবসন্নভাবে স্থমিত্রা চুপ করে বসে রইল, তারপর বেরিয়ে এলো বাইরের বারান্দায়, সেখানে ছোট বড় অসংখ্য মাটির টবে নানারকম মৌসুমী ফুলের গাছ সে স্বহস্তে বসিয়েছে, চন্দ্রমল্লিকাগুলি ফোটার সময় হয়ে এসেছে, কিন্তু পি পড়ের চেয়ে ছোট \ඨ ෆ
