পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

УУ. नि3ग्नि८ऊद्भ ख्यानां कथं পরিচয়ে জানিলাম, তাহার জন্মস্থান গুজরাত ; তাহার গুরুর আদেশ, অনুযায়ী এই অঞ্চলে ঘুরিয়া বেড়ান। আমাদের যে রাজনীতির সহিত কোনও সম্পর্ক আছে তাহা তিনি কি করিয়া টের পাইলেন, ভগবানই জানেন। দুই একটা কথার পরই তিনি আমাদের বলিলেন-“দেখ, তোমরা যে মনে কর, এ অঞ্চলের লোক দেশের অবস্থা বুঝেন- সেটা মিথ্যা । সময় আসিলে দেখিবে ইহারাও ভিতরে ভিতরে প্রস্তুত হইয়া আছে।” আমরা কথাটা চুপ করিয়া শুনিলাম-দেখি শ্ৰাদ্ধ কোন দিকে গড়ায় । তিনি বলিতে লাগিলেন—“দেখ, তোমাদের একটা কথা বলিয়া রাখি। বিশ্বাস কর ত কথাটা খুবই বড়, আর না কর ত বাজে কথা বলিয়া ফেলিয়া দিও । জগতে ধৰ্ম্মরাজ্যস্থাপনের জন্য ভগবান আবার অবতীর্ণ হইয়াছেন ; তবে এখনও প্রকট হন নাই। তঁহাকে নরদেহে টানিয়া আনিবার জন্যই যোগীদের সাধনা ; সে সাধন এবার সিদ্ধ হইবে। ভারতের দুঃখ তখনই ঘুচিবে।” আমরা জিজ্ঞাসা করিলাম-“আপনি এ সংবাদ জানিলেন। কিরূপে ?” সন্ন্যাসী বলিলেন--“আমি সন্ন্যাস লইবার পূৰ্ব্বে হনুমানজীর সাধন করিতাম। অনেক সাধন করিয়া কোন ফল না পাওয়ায় একবার নিরাশ হইয়া দেহত্যাগ করিতে যাই। সেই সময় হনুমানজী আমার নিকট প্ৰকাশিত হইয়া এই আশার সংবাদ আমাকে দিয়া যান।” ব্যাপারটা সন্ন্যাসীর মাথার খেয়াল, কি ইহার মূলে কোন সত্য আছে তাহা ভগবানই বলিতে পারেন । সন্ন্যাসীর নিকট হইতে বিদায় হইয়া আমরা একবার অমরকন্টক যাইব স্থির করিলাম। বিন্ধ্য পৰ্ব্বতের যেখান হইতে নৰ্ম্মাদার উৎপত্তি, অমরকণ্টক সেইখানে। কোন ষ্টেসনে নামিয়া কোথা কোথা দিয়া যে সেখানে গিয়াছিলাম, এই দীর্ঘকাল পরে তাহার সবই ভুলিয়া গিয়াছি।