পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V9 o निय6ांनिgडद्ध আত্মকথা কিন্তু পরের উপদেশ লইবার সু-অভ্যাস বারীনের একেবারেই নাই। কোন রকমে বারীনকে বাগাইতে না পারিয়া শেষে সাধু বলিলেন“দেখ, এ রাস্তা যদি না ছাড়, ত তোমাদের অল্পদিনের মধ্যে ভীষণ বিপদ অনিবাৰ্য্য ।” বারীন দুই হাত নাড়িয়া বলিল—“না হয় ধরে ঝুলিয়ে দেবে-এই বৈ তা নয় । তার জন্য ত প্ৰস্তুত হয়েই আছি।” সাধু ঘাড় নাড়িয়া বলিলেন—“যা ঘটবে, তা মৃত্যুর চেয়ে ও ভীষণ ।” সে দিনের সভা ঐ খানেই ভঙ্গ হইল। সাধু ফিরিয়া যাইবার দিন স্থির করিলেন ; কিন্তু সে দিন যতই নিকটবৰ্ত্তী হইয়া আসিল, আমার পাও যেন ততই বাগান ছাড়িয়া উঠিতে চাহিল না। স্ত্রী, পুত্র, ঘর · বাড়ী ছাড়িয়া আসিয়াছি; সেটা তত কঠিন বলিয়া মনে হয় নাই। কিন্তু যাহারা আমাদের দেখিয়া মা বাপের স্নেহ, ভবিষ্যতের আশা এমন কি প্ৰাণের মমতায় পৰ্য্যন্ত জলাঞ্জলি দিয়াছে, তাহদের ছাড়িয়া আজ কোথায় পলাইব ? অনেক আশা, আকাঙ্ক্ষা, গ্ৰীতি, উৎসাহ এইবােগানের সঙ্গে জড়িত হইয়া গিয়াছে ; আজ সেই গড় জিনিষ ছাড়িয়া কোন অজানা দেশে আপনার লক্ষ্য খুজিতে বাহির হইব ? নির্দিষ্ট দিনে সাধুর সহিত আর আমাদের যাওয়া হইল না। মার্চ মাসের মাঝামাঝি তিনি একাই ক্ষুন্ন মনে ফিরিয়া গেলেন। । or