পাতা:নির্যাতনের বিরুদ্ধে কনভেনশন.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বিশেষজ্ঞবৃন্দকে ভৌগোলিক বিন্যাসের দিকে লক্ষ রেখে এবং আইনি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের সংশ্লিষ্টতার উপকারিতাকে বিবেচনায় রেখে নির্বাচিত করবে।

২) সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষসমূহের মনোনীত ব্যক্তিবর্গের গোপন ভোটে কমিটির সদস্যবৃন্দ নির্বাচিত হবেন। প্রতিটি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র তার নাগরিকদের মধ্য থেকে একজনকে মনোনীত করবে। ইণ্টারন্যাশনাল কোভেন্যাণ্ট অন সিভিল অ্যাণ্ড পলিটিক্যাল রাইটস (নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি)-এর সদস্য এবং নির্যাতনবিরোধী কমিটির সদস্য হতে ইচ্ছুক এমন ব্যক্তির মনোনয়ন দানের উপকারিতার কথা সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় পক্ষ বিবেচনায় রাখতে হবে।

৩) জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বানে অনুষ্ঠিতব্য সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলির দ্বিবার্ষিক সভায় কমিটির সদস্যবর্গের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভাসমূহে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে 'কোরাম' পূর্ণ হবে এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোটপ্রাপ্ত ব্যক্তি কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত বলে পরিগণিত হবেন।

৪) প্রথম নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হবে এই কনভেনশন কার্যকর হবার দিন থেকে অন্তত ছয় মাসের মধ্যে। প্রতিবার নির্বাচনের অন্তত চার মাস আগে তিন মাসের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেবার আমন্ত্রণ জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলোর কাছে পত্র দেবেন। এভাবে মনোনীত ব্যক্তিবর্গের একটি তালিকা (আক্ষরিক ক্রমবিকাশ মোতাবেক প্রণীত) এবং মনোনয়নকারী দেশগুলোর নাম চিহ্নিত করে মহাসচিব সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলোর কাছে পাঠাবেন।

৫) কমিটির সদস্যগণ চার বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হবেন। পুনঃমনোনীত হলে তাঁরা পরবর্তী মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হবার যোগ্যতা অর্জন করবেন। যদিও প্রথম নির্বাচনে নির্বাচিত সদস্যবৃন্দের মধ্যে পাঁচজনের সদস্যপদের মেয়াদ দ্বিতীয় বছরের শেষ নাগাদ উত্তীর্ণ হবে। প্রথম নির্বাচনের পরপরই এই ধারার ৩ প্যারায় উল্লিখিত সভার চেয়ারম্যান উক্ত পাঁচজন সদস্যের নাম লটারির মাধ্যমে বাছাই করবেন।

৬) কমিটির কোন সদস্য যদি মৃত্যুবরণ করেন বা পদত্যাগ করেন অথবা অপর যে কোন কারণে কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে অপারগ হন, তাহলে তার মনোনয়নদানকারী রাষ্ট্র বাকি মেয়াদের দায়িত্ব পালনের জন্য তার নাগরিকদের মধ্য থেকে অপর সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র পক্ষগুলোর সম্মতি সাপেক্ষে অন্য একজন বিশেষজ্ঞকে মনোনীত করতে পারবে। জাতিসংঘ মহাসচিব কর্তৃক প্রস্তাবিত মনোনয়নের ব্যাপারে অবহিত হবার পর ছয় সপ্তাহের মধ্যে যদি অর্ধেক বা ততোধিক সংখ্যক রাষ্ট্র উক্ত মনোনয়নের ব্যাপারে অবহিত হবার পর ছয় সপ্তাহের মধ্যে যদি অর্ধেক বা ততোধিক সংখ্যক রাষ্ট্র উক্ত মনোনয়নের ব্যাপারে নেতিবাচক মন্তব্য বা আপত্তি উত্থাপন না করে, তাহলে বিকল্প সদস্যের মনোনয়ন অনুমোদিত হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।

৭) কমিটির সদস্যবর্গের দায়িত্ব পালনের ব্যয়ভার সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষসমূহ বহন করবে।

ধারা ১৮

১) কমিটি দুই বছরের মেয়াদে কর্মকর্তা নির্বাচন করবে। কর্মকর্তাগণ পুনঃনির্বাচিত হতে পারবেন।

২) কমিটি নিজস্ব ‘রুলস অব প্রসিডিওর' প্রণয়ন করবে। তবে তার মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয় দু'টি হুবহু থাকতে হবে, যেমন—

ক) ছয়জন সদস্যের উপস্থিতিতে ‘কোরাম’ পূর্ণ হবে;
খ) উপস্থিতি সদস্যবর্গের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে;
১০