পাতা:নীতিকণা - নারায়ণচন্দ্র বিদ্যারত্ন.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৪০
নীতিকণা।

নিঃশব্দে চলে’ছে ক্ষুদ্র তরঙ্গ-নিকর,
পবন করি’ছে খেলা তাহার উপর।
 আবার রজনী-যোগে যবে চরাচরে,
সকল নিস্তব্ধ হয় আরামের তরে।
নির্ম্মল আকাশ হ’তে যবে নিশাকর,
ছড়ায় জগৎ-মাঝে সুবিমল কর।
সাগরের শান্ত বক্ষে তারা অগণন,
প্রতিবিম্ব-পাতে হয় শোভিত তখন।
উকি ঝুকি মারে গিয়া সাগর অন্তরে,
বসনে চুমকি প্রায় ঝিকি মিকি করে।
 কিন্তু যবে সমীরণ হ’য়ে বেগবান,
সাগর-সলিল-রাশি করে কম্পমান।
সুনীল জলদজাল উঠি চারি ধারে,
গগনেরে আচ্ছাদন করে অন্ধকারে।
তখন গর্ব্বিত ভাব ধরিয়া সাগর,
রোষিত সিংহের মত কাঁপায় কেশর।
সমুদ্র উভয় কূল হইতে তখন,
বজ্রপাত-শব্দ সম করয়ে গর্জ্জন।
অচল সদৃশ দেহ করিয়া ধারণ,
উত্তাল তরঙ্গচয় করয়ে গমন।