পাতা:নীতি-সন্দর্ভ.djvu/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর্তব্যানুষ্ঠান। 8ම যাহাদের হৃদয়ে নৈতিকবল আছে, তাহারা কখনই ন্যায়ের পথ পরিত্যাগ করিয়া অসৎপথ অবলম্বন করেন না । স্থিরপ্রতিজ্ঞতা এবু নৈতিকসত্যের প্রতি অকপট শ্রদ্ধা, ন্যায়ের পক্ষে অবিচলিত থাকিবার প্রধান হেতু । কৰ্ত্তব্যজ্ঞান মানুষের মনুষ্যত্বের পরিচায়ক । ইহা মনুষ্যকে সৎপথে চালিত করে । কৰ্ত্তব্যজ্ঞান কেবল ব্যক্তিগত উন্নতির নিদান নহে, ইহা জাতিগত উন্নতিরও মূলভিত্তি। যে জাতির মধ্যে এই কৰ্ত্তব্যজ্ঞান আচল ও অটলভাবে বিদ্যমান থাকে, সেই জাতির অধঃপতন কখনই সম্ভবপর নহে ; কিন্তু যখনই কোন জাতির মধ্যে ইহার অভাব পরিলক্ষিত হয়, তখনই সেই জাতির অধঃপতন অবশ্যম্ভাবী হইয়া উঠে এবং ইহার পুনরুদয় না হওয়া পৰ্য্যন্ত, সেই জাতি আর কখনই উত্থানলাভে সমর্থ হয় না। জগতের ইতিহাস ইহার প্রমাণ। কর্তব্যনিষ্ঠপুরুষগণের সাধনাভূমি ভারতবর্ষ অধুনা ঘোরতমসাচ্ছন্ন। একজন সামান্য প্রহরীর কার্য উল্লেখ করিলেই ইহার উপলব্ধি হইবে। রাজা দুৰ্জ্জনশালের সময়ে চিতোরের পূর্বপ্রথানুসারে সূর্যাস্তের পরই তোরণদ্বার রুদ্ধ করা হইত। একদা রাজা কোন যুদ্ধে পরাভূত হইয়। রজনীর তৃতীয়প্রহরসময়ে তোরণদ্বারে আসিয়া উপস্থিত হন। দুৰ্জ্জনশাল দ্বারোদঘাটনের জন্য প্রহরীকে অনেক বলিলেন, এমন কি, তিনি রাজা বলিয়াও আত্মপরিচয় দিলেন, কিন্তু প্রহরী কিছুতেই দ্বারোন্মোচন করিল না, বরং রাজার প্রতি অস্ত্রোত্তোলন করিল । রাজা ভয়ে তথা হইতে পলায়ন করিয়া একটী ভগ্ন به میه