পাতা:নীতি-সন্দর্ভ.djvu/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ হইবামাত্র প্রতিহত হয়, ক্রোধও সেইরূপ ক্ষমাতে সংলগ্ন হইবামাত্রই বিলীন হইয়া যায় । o ক্ষমা প্রকাশ করিলে যে ক্ষুদ্রাশয় ও লঘুচেতা অনুতপ্ত হয় না, তাহাকে বারংবার ক্ষমা না করাই কৰ্ত্তব্য ; কারণ, সে ইহাতে ক্ষমাশীলকে অসমর্থ মনে করিয়া তাহার উপর নানারূপ অত্যাচার ও উৎপীড়ন আরম্ভ করে এবং সুবিধা পাইলেই তাহার স্বন্ধে উঠিবার চেষ্টা করে। ক্রমানুশীলনদ্বারা যখন সহিষ্ণুতা পূৰ্ণবিকসিত হয়, তখনই হৃদয়ে ধৈর্য্য-গুণের আবির্ভাব হয়। যে গুণ থাকিলে বিকারের যথেষ্ট কারণ পাকা সত্ত্বেও মনে কোনরূপ বিকার উপস্থিত হয় ন, তাহাকেই ধৈৰ্য্য-গুণ বলে। মনে কর, আজ তুমি ঘোরসঙ্কটে পতিত, সহায়সম্পদহীন, আত্মীয়কুটুম্ব তোমাকে এক ফেলিয়া এই ভবরঙ্গভূমি হইতে চিরতরে বিদায়গ্রহণ করিয়াছেন, তুমি যে দিকে দৃষ্টিপাত কর সেই দিকেই অন্ধকার ; চতুর্দিকেই বিভীষিকার করালমূৰ্ত্তি —এইরূপ অবস্থায় তোমার বিকারের যথেষ্ট কারণ রহিয়াছে ; তুমি হয়ত সহজেই অস্থির হইয় উঠিবে ; অনাহারে অনিদ্রায় ও বিষময়ী চিন্তার কঠোরতম দংশনে হয়ত নিজের প্রাণ পৰ্য্যন্ত সঙ্কটাপন্ন করিয়া তুলিবে ; এইরূপ সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় পতিত হইলেও হৃদয়ের শান্তি রক্ষা করা ধৈর্য্য-গুণের কার্য্য। সহিষ্ণুতা থাকিলে বিকারের ভাব চাপিয়া রাখা যায়, কিন্তু ধৈৰ্য্য-গুণ থাকিলে হৃদয়ে বিকার আসিতেই