পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

—৫—

 “চিন্তা ও কর্ম্মের নবধারার প্রবর্ত্তন করিতে গেলে যে বর্ত্তমান ভাবধারা ও স্বার্থ এবং শক্তিশালী দলের সহিত আমাদের বিরোধ বাধিবে তাহা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু তাহাতে ভীত হইলে আমাদের চলিবে না। বিরোধ ও বহুবাধার মধ্য দিয়াই যুব-আন্দোলনকে অগ্রসর হইতে হইবে। এমন অনেক সময় আসিবে, যখন আমরা চরিদিক হইতে বাধা পাইব এবং সমস্ত জগৎ হইতে যেন আমরা বিচ্ছিন্ন—এইরূপ মনে হইবে। সেই সঙ্কট সময়ে আমাদের সেই আইরিশ মহাপুরুষের বাণী মনে রাখিতে হইবে, যিনি আসন্ন বিপদের মাঝখানে দাঁড়াইয়া দৃপ্তকণ্ঠে বলিয়াছিলেন,—জগৎকে যেমন একজন (খৃষ্ট) উদ্ধার করিয়াছিলেন আয়ার্লণ্ডকে তেমনি একজনই উদ্ধার করিতে পারেন।”

 * *

 *

 ধ্য প্রদেশের যুব-সম্মেলনে সভাপতিত্ব করিবার জন্য আমাকে আমন্ত্রিত করিয়া আমাকে যে-সম্মান করিয়াছেন, তাহার জন্য আপনাদিগকে ধন্যবাদ দিতেছি।

 জাতীয় জীবনের এক যুগসন্ধিক্ষণের মধ্য দিয়া আমরা অগ্রসর হইতেছি। এখন সকল যুবকেরই কর্ত্তব্য আমাদের ভবিষ্যৎ কর্ম্মপন্থা স্থির করিবার জন্য মিলিতভাবে পরামর্শ করা। আমাদের জাতীয় জীবনের মূলগত সমস্যাগুলির সমাধান করিবার বা তজ্জন্য চেষ্টা করিবার উদ্দেশ্যে মধ্য-প্রদেশের যুবকেরা যে বয়োবৃদ্ধগণের সাহায্যের

১৩৯