পাতা:নেক্‌লেশ - শ্রীভবতারণ.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ । স্বেচ্ছায় হউক অথবা বন্ধুবর্গের এবং মাতার অনুরোধেই হউক সুধাংশু কুমারের এই বিবাহে। আর কোনরূপ আপত্তি শুনিতে পাওয়া গেল না। মাতা ভাবিলেন—“মাতৃভক্ত পুত্র তাহার আদেশ পালন করিল।” বন্ধুয়া ভাবিলি-তাহাদের উপরোধ রক্ষা করিবার জন্য সুধাংশু। কুমার বিবাহে “মৌনং সন্মতি লক্ষণং" মহা মন্ত্রের ব্ৰতী হইল। কিন্তু প্ৰকৃত কারণ কেবল মাত্র একজন সুক্ষ্মদৰ্শী যুবক বুঝিতে পারিল। সে ভূষণচন্দ্ৰ । ভূষণ মনে মনে ভাবিল-“সেদিন অন্নপূর্ণাকে অমন ভাবে দেখান অন্যের নিকট হয়ত দোষাবহ হইতে পারে, কিন্তু আমার নিকট তাহাতেই সম্যক ফল হইয়া গিয়াছে।” সরল সৌন্দর্ঘ্যের কমনীয়তাটুকু লইয়া সেদিন অন্নপূর্ণ যখন অয়েল পেণ্টিংএর দিকে চাহিয়া রহিয়াছিল, ভূষণচন্দ্ৰ সেই সময় কৌশল করিয়া সুধাংশুকে সেই কক্ষে পাঠাইয়া দেয়। সুধাংশু গীতার অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা বড় ভালবাসে, ভূষণ সময় বুঝিয়।। তাহার নিকট গীতা শুনিতে চাহিল। সুধাংশু গীতা আনিবার জন্য সেই কক্ষে প্ৰবেশ করিয়াই অন্নপূর্ণাকে দেখিয়া সরিয়া গেল। সেদিন রাত্ৰে সুধাংশু আপন কক্ষে একাকী শয়ন করিয়া অনেকক্ষণ কি চিন্তা করিল। ক্ষীণ প্রেমের অস্ফুট আলোক রশ্মি তাহার হৃদস্য শ্মশানে যে কিরণ বিকীর্ণ করিল তাহা ক্রমশঃই উজ্জল হইতে উজ্জলতর হইতে লাগিল। সুধাংশু ভাবিল অন্নপূর্ণার সৌন্দৰ্য্য,-সুধাংশু ভাবিল অন্নপূর্ণার সুন্দরমুখ। একটিবার মাত্র দর্শনেই প্ৰেমান্ধ যুবকের হৃদয়