পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

 এই নিরুদ্দেশ্যে যাত্রার বিষয় ১৯১৫ খৃষ্টাব্দে তাহার এক বন্ধুকে তিনি জানান, “আমি দিন দিন বুঝতে পারছি যে আমার জীবনে ভগবান নির্দিষ্ট একটি উদ্দেশ্য আছে। সেই উদ্দেশ্য সাধন করিবার জন্য আমি দেহ ধারণ করিয়াছি। আমি গতানুগতিক ভাবে জীবন যাপন করিব না।”

 এই স্বেচ্ছাকৃত কষ্টদায়ক ভ্রমণে সুভাষের স্বাস্থ্য ভাঙ্গিয়া যায় এবং তিনি টাইফয়েডে দীর্ঘকাল শয্যাগত থাকেন। পরে তিনি কাসিয়াং যাইয়া স্বাস্থ্য-লাভ করেন। তিনি ১৯১৫ খৃষ্টাব্দে প্রথম বিভাগে আই-এ পাশ করেন।

 দর্শনশাস্ত্রে অনার্স লইয়া তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে বি, এ পড়েন। কলেজেই চরিত্র-প্রভাবে সুভাষচন্দ্র ছাত্রদিগের নেতা হন। এই সময়ের এক ঘটনা তাঁহার জীবনে এক পরিবর্তন আনয়ন করে। ইংরাজির অধ্যাপক মিঃ এফ-ওটেন ক্লাসে ছাত্রদিগের সঙ্গে অপমানজনক ব্যবহার করিতেন। তিনি একদিন বি, এ, ক্লাসের একটি ছেলের গালে চড় মারেন। ইহার ফলে ছেলেরা ধর্ম্মঘট করে। যাহা হউক কর্তৃপক্ষ ইহা মিটমাট করিয়া দেন। একমাস পরে মিঃ ওটেন পুনরায় ছাত্রদিগকে অপমান করেন। আত্ম-সম্মান সকলেরই আছে। এই দুর্ব্যবহার ছাত্রদের সহ্যের সীমা অতিক্রম করে। ছাত্ররা ধৈর্য্য হারাইয়া ওটেনকে প্রহার করে। কর্তৃপক্ষ শাস্তিস্বরূপ কতিপয় ছাত্রকে কলেজ হইতে বহিষ্কার করিয়া দেন। সুভাষচন্দ্র দলের নেতা ছিলেন বলিয়া দুই বৎসরের জন্য বহিষ্কৃত হইলেন। তিনি বলেন,