পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
১৫

আশঙ্কাজনক বলিয়া রিপোর্ট দেন। সেইজন্য বাংলা সরকার কতকগুলি সর্তে তাঁহাকে খালাস দিতে প্রস্তাব করেন। সুভাষচন্দ্রের মত আত্মমর্যাদাজ্ঞানী লোকের পক্ষে এইরূপ মুক্তি পাওয়া অপমানজনক। সুভাষচন্দ্র সম্মত হইলেন না। সুভাষচন্দ্রের স্বাস্থ্যের অবস্থা ক্রমশঃ খারাপ হইতে লাগিল। অবশেষে ১৯২৭ সালে ১৬মে তারিখে তিন বৎসর পর তাঁহাকে বিনা সর্তে মুক্তি দেওয়া হয়। সুভাষচন্দ্রের মুক্তির ব্যাপার একটু রহস্যপূর্ণ। ১৫ই মে সুভাষচন্দ্রকে জাহাজে রেঙ্গুন থেকে ডায়মণ্ডহারবারে আনা হয়। সেখানে গভর্ণরের লঞ্চে তাঁহাকে নামান হয় এবং প্রসিদ্ধ ডাক্তারগণ তাঁহাকে পরীক্ষা করেন। ১৬ই মে সকালে তাঁহাকে টেলিগ্রাম করিয়া মুক্তি দেওয়া হয়। সুভাষচন্দ্রের মুক্তিতে সারা বাংলায় একদিনের জন্য দোকানপাট বন্ধ থাকে। সুভাষচন্দ্রের স্বাস্থ্যের জন্য মন্দিরে ও গৃহে প্রার্থনা করা হয় এবং শান্তি-স্বস্ত্যয়ন করা হয়। ইহাতে দেশবাসীর গভীর ভালবাসা প্রমাণ হয়। গ্রেপ্তারের সময় সুভাষচন্দ্র সুস্থ, সবল ও কর্ম্মঠ যুবক ছিলেন, মুক্তির সময় কিন্তু সুভাষচন্দ্র ভগ্নস্বাস্থ্য ভগ্নোদ্যম, উঠিবার শক্তি পর্যন্ত ছিল না। মান্দালয়ের কারাবাসের এই ফল!

 বাংলার নেতা—সুভাষচন্দ্রের কারাবাসের সময়ে বাংলার নেতা দেশবন্ধু দেহত্যাগ করেন। সুভাষচন্দ্রের স্বাস্থ্যলাভের পর বাংলার জনমত সুভাষচন্দ্রকে প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ও বাংলার নেতা মনোনীত করেন। নভেম্বরে মাদ্রাজে