পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

৯৭৩ ভোটে অগ্রাহ্য হয়। এই বৎসরে ৩০শে ডিসেম্বরে সুভাষ হিন্দুস্থান সেবাদলের সভাপতিত্ব করেন। কংগ্রেসের পরই সুভাষচন্দ্র, জহরলাল প্রভৃতি স্বাধীনতা-সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৯হইতে ১৯৩১ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত সুভাষচন্দ্র ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সভাপতি হন। ইহা ভারতীয় কলের মজুরদের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান।

 জহরলালের দলত্যাগ—১৯২৯ সালের লাহোরে কংগ্রেসের দিন এগিয়ে আসতে লাগল। এদিকে গভর্ণমেণ্টের তরফ থেকে কংগ্রেস প্রস্তাবের কোন সাড়াশব্দ নাই। মহাত্মা কংগ্রেসে সুভাষের ও জহরলালের নেতৃত্বে চরমপন্থী দলের সংখ্যা ও তরুণদের প্রতিপত্তি যে বেড়ে যাচ্ছে এবং তাঁহার প্রতিপত্তি যে কমে যাচ্ছে কলিকাতা কংগ্রেসে ইহা লক্ষ্য করে বিচলিত হলেন। ১৯২৯ সালে অক্টোবরে সুভাষ লাহোরে যুব-সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন এবং বিপুল ভাবে সম্বর্দ্ধিত হন। এই লাহোরেই কংগ্রেসের অধিবেশন হইবে। এই সকল চিন্তা মহাত্মাকে অধিক বিচলিত করিল। গান্ধীজি জহরলালকে নিজের দলে টানবার চেষ্টা করতে লাগলেন। সেই উদ্দেশ্যে তিনি জহরলালকে লাহোর কংগ্রেসের সভাপতি মনোনীত করাইলেন। সেই অবধি জহরলাল সুভাষচন্দ্রের উগ্রপন্থীদল ত্যাগ করিয়া মহাত্মার দলে যোগদান করিলেন এবং আজ পর্যন্ত মহাত্মারই বিশ্বস্ত অনুচর আছেন।

 বাংলায় পুনর্নির্ব্বাচন—১৯২৯ খৃষ্টাব্দের এপ্রিলে বাংলার গভর্ণর বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা ভাঙ্গিয়া দেন এবং পুনঃ নির্ব্বাচনের