পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
১৯

আদেশ দেন। সুভাষচন্দ্রের নেতৃত্বে জুন মাসে কংগ্রেস প্রার্থীরা বিপুল ভোটাধিক্যে মনোনীত হন।

 কারাদণ্ড—১৯২৯ খৃষ্টাব্দে আগষ্ট মাসে সুভাষচন্দ্র “নিখিল ভারত লাঞ্ছিত রাজনৈতিক দিবস” পালন উপলক্ষ্যে এক শোভাযাত্রা পরিচালনা করেন। সেইজন্য সুভাষচন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজদ্রোহের অভিযোগে মামলা আনা হয়। ১৯৩০ খৃষ্টাব্দে ২৩শে জানুয়ারীতে সুভাষচন্দ্রের ৯ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড হয়।

 ১৯২৯ খৃষ্টাব্দে ১৩ই সেপ্টেম্বর লাহোর জেলে যতীনদাস ৬৩ দিন অনশন করিয়া মারা যান। তাঁহার মৃতদেহ কলিকাতায় আনা হইলে সুভাষচন্দ্রের নেতৃত্বে এক বিরাট শোভাযাত্রা হয়। ২৯ সেপ্টেম্বরে সুভাষচন্দ্র হাওড়ায় রাষ্ট্রীয় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।

 আরউইনের ঘোষণা—১৯২৯ খৃষ্টাব্দের ৩১ অক্টোবরে বড়লাট আরউইন কংগ্রেসকে জানান যে ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্ট ১৯১৭ খৃষ্টাব্দের ঔপনিবেশিক স্বায়ত্ব শাসনই ভারতের ভারী শাসনতন্ত্র বলিয়া ঘোষণা করেন এবং সাইমন কমিশনের রিপোর্ট বাহির হইলেই লণ্ডনে একটি গোলটেবিল বৈঠক আহ্বান করা হইবে। এই ঘোষণার পর দিল্লীতে সর্ব্বদলীয় কনফারেন্স হয়। ইহাতে মতিলাল, মদনমোহন, জহরলাল, সরোজিনী নাইডু প্রভূতি অনেকে বড়লাটের ঘোষণা ও ভারতের স্বায়ত্বশাসনের বিস্তারিত আলোচনার জন্য গোলটেবিল বৈঠকের সমর্থন করিয়া এক বিবৃতি দেন। সুভাষ, কিচলু প্রভৃতি কয়েকজন পৃথক বিবৃতি দিয়া ইহার বিরোধিতা করেন। ইহার