পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
৩৩

কমিটির ছয়জন সদস্য সুভাষচন্দ্র যাহাতে নির্ব্বাচিত না হন এবং ডাঃ পট্টভি নির্বাচিত হন কংগ্রেস ডেলিগেটদের নিকট এইরূপ আবেদন করিয়া এক বিবৃতি দেন। এইরূপ বিবৃতি ও পাল‍্টা বিবৃতি দেওয়ায় ডেলিগেটগণ বুঝিতে পারিলেন সুভাষচন্দ্রই ঠিক পথে চলিতেছেন এবং তাঁহার একটা অনুমোদিত নির্দ্দিষ্ট কর্মপন্থা ও নীতি আছে এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্র বিরোধিতা করিবেন। সুভাষচন্দ্র কংগ্রেস কর্তৃপক্ষকে অন্য কোন যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী বামপন্থী নেতাকে সভাপতি করিতে অনুরোধ জানান। কংগ্রেসের মধ্যে দলাদলি সৃষ্টি বন্ধ করিবার জন্য সর্বশেষে তিনি বামপন্থীদের বিশ্বাসভাজন একজন দক্ষিণপন্থীকে সভাপতি করিতে বলেন। ইহাতে কেহই কর্ণপাত করিলেন না কারণ দক্ষিণপন্থীরা জানিতেন যে তাঁহারাই ভোটে জিতিবেন। যাহা হউক ২৯শে জানুয়ারীতে ভোট গ্রহণ হয়। সুভাষচন্দ্র ১৫৮০ ভোট ও পট্টভি ১৩৭৭ ভোেট পান। দক্ষিণপন্থী নেতাদের বিরুদ্ধাচরণ সত্ত্বেও সুভাষ চন্দ্র সকলকে বিস্মিত করিয়া ২০৩ ভোট বেশী পাইয়া সভাপতি নির্ব্বাচিত হন। ইহাতে প্রমাণ হয় সুভাষকে দেশের লোক কতটা সমর্থন করে।

 সভাপতি নির্ব্বাচনের পর—সভাপতি নির্ব্বাচনের পরও যে সকল ঘটনা ঘটে তাহা শোভনীয় হয় নাই। সুভাষচন্দ্র নির্বাচনের ফলাফল সম্বন্ধে বলেন, “আমাদের জয়লাভে নীতি ও আদর্শের জয় হইয়াছে। কংগ্রেসে কোন দলাদলি হইতে দিব না। কংগ্রেস পূর্ব হইতেই ঐক্য বদ্ধ আছে। কংগ্রেসীদের