পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৮
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

মরা হবে না এই ভাবিয়া তিনি হুকুম দিলেন “আক্রমণ কর”।

 তখন পরিখার মধ্য হইতে ৯৮জন সৈন্য এক মাত্র সম্বল “নেতাজি কি জয়” ‘দিল্লা চলো’ ধ্বনি করিতে করিতে পরিখা হইতে উঠিয়া ভারতের নাম লইয়া শত্রুকে আক্রমণ করিল। দুই ঘণ্টা হাতাহাতি যুদ্ধে ৪০জন আজাদি ও তদপেক্ষা বেশী শত্রু সৈন্য নিহত হইল। আজাদি সৈন্যের দ্বারা আক্রান্ত হইয়া শত্রু পশ্চাৎ হটিল। জ্ঞান সিংহ হঠাৎ একটি গুলির আঘাতে নিহত হন।

নারীবাহিনী

 যুগ যুগ ধরে ভারতের নারী স্নেহে, মাধুর্য্যে প্রীতিতে ঘরে ঘরে শান্তির অর্থ রচনা করেছে কিন্তু তাদের চিরন্তন কল্যাণীরূপের পিছনে যে শক্তির উৎস লুকিয়ে ছিল কে তার খোঁজ রাখত! বিদেশী শাসনের নিপীড়নে, সে ভয়ঙ্কর শক্তি আজ ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। আজ তারা দেখাচ্ছে ভারতের নারী শুধুই স্নেহ-মমতার উৎস নয়—তারা শক্তির উৎস। গৃহকোণই শুধু তাদের আশ্রয় নয়—সংগ্রাম ক্ষেত্রেও তারা দাঁড়াতে পারে শক্রর সম্মুখে পুরুষের সাথে।

 সেবায় নারী—আজাদ হিন্দ বাহিনীতে প্রবাসী ভারতীয় নারীগণ ডাঃ লক্ষী স্বামীনাথনের নেতৃত্বে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে উঠল। ভারতের নারী গিয়ে দাঁড়াল পুরুষের পাশে,—তাদের দেবে আশা—দেবে উদ্দীপনা,—রোগ শয্যায় মুছিয়ে দেবে রুগ্নের