পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
৫৭

আজাদি সৈন্যের বিমান ছিল না। সাজসরঞ্জামও কম ছিল। তা সত্ত্বেও তাহার ব্রিটিশদের প্রত্যেক যুদ্ধে হারিয়ে দিয়েছিল। তাহাদের সামরিক শিক্ষা, শৃঙ্খলা, ভারতের মুক্তির জন্য অনমনীয় প্রতিজ্ঞা তাহাদের অভাবনীয় সাফল্যের কারণ।

 (২) ১৪২৩ ফুট উচ্চ একটি পাহাড়ের আড়ালে ব্রিটিশ সৈন্য কামানশ্রেণী সাজাইয়াছে। পাহাড়ের কিছুদূরে একটি গুরুত্ব পূর্ণ স্থানে জ্ঞান সিংহের অধীনে মাত্র ৯৮ জন সৈন্য ব্রিটিশ সৈন্যের অগ্রগতিতে যে কোন মূল্য দিয়া বাধা দিবার জন্য পরিখার মধ্যে অবস্থান করিতেছিল। ইহাদের সঙ্গে কোন মেসিনগান ছিল না। কেবল অতি পুরাতন রাইফেলই একমাত্র অস্ত্র ছিল। দুইদিন শত্র‌ুর কোন সাড়া শব্দ পাওয়া গেল না। ১৬ মার্চ্চ ভোর হইতে বেলা ১১টা পর্যন্ত শত্র‌ু বিমান ক্রমাগত বোমা নিক্ষেপ করিল। তৎপর পাহাড় হইতে কামানদাগা সুরু হল এবং সঙ্গে সঙ্গে ১৩টি ট্যাঙ্ক, ১১টি কামান সজ্জিত গাড়ী, ১০টি ট্রাকের একটি যান্ত্রিক বাহিনী কামানের গোলার আড়ালে অগ্রসর হইতে লাগিল। অগ্রসরমান কামানের গাড়ী হইতে অনবরত গোলা নিক্ষিপ্ত হইতে লাগিল। ইহাতেও আজাদি সৈন্য আত্মসমর্পণ করিল না দেখিয়া তাহারা ভারী ট্যাঙ্ক ও কামানের গাড়ী পরিখার নিকটে চালাইয়া দিল এবং সঙ্গে সঙ্গে কামানগুলি চারিদিক হইতে ভীষণ ভাবে অগ্নিবর্ষণ করিতে লাগিল। জ্ঞানসিংহ দেখিলেন পরিখার মধ্যে মৃত্যু কিংবা বন্দী হওয়া নিশ্চিত। মরিতে যখন হবে তখন শত্র‌ুকে না মেরে