পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দোষ না হয়ে থাকে তাহলে শৃঙ্খলিত ভারতবাসীর পক্ষে যে সাহায্য একান্ত প্রয়োজন সেই সাহায্য গ্রহণ করলে ভারতবর্ষেরও কোন দোষ হতে পারে না। বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রামে কোন সাহায্য পেলে আমরা ভারতবর্ষে তা বরণ করে নেবো।


 যুগে যুগে সূর্য ওঠে আকাশের পূর্ব দিগন্তে—সূর্য ওঠে ভারতের পূর্ব সীমান্তে এবারের সূর্য উঠলো আরও পূর্বে—পূর্ব এশিয়ার বিস্তীর্ণ রণ-ক্ষেত্রে!

 আগামী দিনের স্বাধীন ভারতের সেই সোনার সূর্যের আলোর পরশ পেয়েছে বন্ধু? সে আলোর অগ্নিতে শুদ্ধ করে নিয়েছো তোমার আত্মা?

 যদি না দেখে থাকো ত আমার সঙ্গে এসো, পাহাড়ের উচ্চ শিখর থেকে সে সূর্যকে দেখবে চল।

 একটা আধটা পাহাড় নয়—অনেকগুলো পাহাড় পেরোতে হবে শিখরে উঠতে গেলে— দেড় শ’ বছরের অন্ধকার আর আত্মগ্লানির পাহাড়····তারপর শুধু ১৯৪২’এর নয় বহু আগষ্টের বহু কঙ্কালের স্তূপ····হ্যাঁ নদীস্রোতও আছে···বহু জালিয়ানওয়ালাবাগের উন্মত্ত রক্তস্রোত····! এসব পেরিয়ে ঐ যে শিখর ওর ওপর থেকে দেখতে হবে প্রথম সূর্যোদয়···! ওকি? শিউরে উঠলে কেন বন্ধু আতঙ্কে?···ও ত’ ঝড় নয়—ওযে বহু অশান্ত আত্মার উত্তপ্ত নিঃশ্বাস···চল আমরা পেরিয়ে যাই।···

 এই ত’ আমরা এসে গেছি···। দেখতে পাচ্ছো বন্ধু? দেখতে পাচ্ছো বহু দিনের নির্যাতন আর বেদনার উত্তপ্ত গোলোক ঐ উঠছে···। তার আলো তোমার গায়ে আমার গায়ে সমানভাবে এসে পড়ছে···। ওকি? রক্তের মধে এ কিসের দোলা? কিসের তাপ?

১৪১