পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নিযুক্ত ছিলেন বা আছেন। ধীলনের স্ত্রীর নাম বসন্ত কাউর। মণ্টগোমারী স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। সামরিক পরীক্ষায় বিশেষ কৃতিত্ব দেখিয়ে তিনি উচ্চপদে উন্নীত হন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় তিনি পাঞ্জাব রেজিমেণ্টের সঙ্গে মালয়ে ছিলেন। তারপর আরও উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি কিছুদিনের জন্য ভারতে আসেন এবং পরে উত্তর মালয়ের জঙ্গলে প্রেরিত হন। সেখানে জাপানের বিরুদ্ধে তিনি বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ চালান এবং তার জন্য বহু ভারতীয়ের প্রাণ রক্ষা হয়। পরে অবশ্য তিনি জাপানের হাতে বন্দী হন। তারপর ব্যাংককে অনুষ্ঠিত পূর্ব এশিয়ার ভারতীয় নেতাদের সম্মেলনে অন্যান্য যুদ্ধ বন্দীদের সঙ্গে মোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীনে আজাদ-হিন্দ-ফৌজে যোগদান করেন।

 পি, কে, সায়গল— ১৯১৫ সালে সায়গলের জন্ম। তাঁর পিতার নাম সার অশ্রুরাম—তিনি লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি। দেরাদুন সামরিক শিক্ষালয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে তিনি ভারতীয় সেনা বাহিনীর দশম বালুচ রেজিমেণ্টে যোগ দেন। সিঙ্গাপুরে বৃটিশের পরাজয়ের পর তিনি আজাদ-হিন্দ-ফৌজে যোগদান করেন। আজাদ-হিন্দ বাহিনীতে তিনি কর্নেলের পদে ভূষিত হন এবং সামরিক সম্পাদকের পদ প্রাপ্ত হন। আজাদ-হিন্দ-বাহিনীর ইতিহাস বিখ্যাত বিচারের সময়ে তাঁর ভগিনীগণ ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার দিনে তাঁর কপালে চন্দন তিলক অঙ্কিত করে দেন এবং তার ফলে বিচারালয়ে এক অদ্ভুত উত্তেজনা ও আনন্দ কোলাহলের সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি জানা গিয়েছে যে তিনি নাকি শীঘ্রই তাঁর বাগদত্তা বধূকে বিবাহ করবেন।

 বাসবিহারী বসু—অল্পখ্যাত মহা বিপ্লবী বীর রাসবিহারী বসুই প্রথম আজাদ হিন্দ-বাহিনীর স্রষ্টা। ১৯১২ সালে রাজ প্রতিনিধি বড়লাট হার্ডিঞ্জের এক শোভাযাত্রায় বোমা নিক্ষেপের ফলে তিনি ঐ দলের নেতা হিসাবে পুলিশের নজরে পড়েন। তাছাড়া তিনি আরও কয়েকটি স্বদেশী ডাকাতির পরামর্শদাতা ও দলপতি হিসাবে অভিযুক্ত হন। তাঁর সঙ্গীদের অনেকেই ফাঁসি কাষ্ঠে জীবন দান করেন।

১৪৪