পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৬
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

হইল? যাহোক্, রহমৎ খাঁ যেন খানিকটা গরম হইয়াই কহিলেন, “বেশ, চলুন আমি যাইতেছি; কিন্তু আমার দাদা খুবই অসুস্থ, তিনি যাইতে পারিবেন না।”

 কনস্টেবলের গলার সুর কতকটা নরম হইয়া গেল; সে ভাবিল, “সত্যই তো একটা রুগ্ন লোককে থানায় লইয়া গেলে কি লাভ হইবে? বরং তাহা না করিয়া যদি—”

 সে কহিল, “বেশ, তাহা হইলে থাক্, কাহারও যাইবার দরকার নাই। কিন্তু সাবধান, খুব শীগ্‌গির এখান হইতে চলিয়া যাইবেন—ইহার যেন অন্যথা না হয়। তবে—যাওয়ার আগে চা খাওয়ার জন্য আপনারা আমাকে কিছু দিয়া যান—ষে শীত পড়িয়াছে!”

 রহমৎ খাঁ বিরুক্তি না করিয়া তাহার হাতে একখানি দশ টাকার নোট গুঁজিয়া দিলেন। কনষ্টেবলটি চায়ের দক্ষিণা, সেই নোটখানি লইয়া আনন্দের সহিত চলিয়া গেল।

 সেদিন চলিয়া গেল বটে, কিন্তু তিন দিন পরেই আবার সে আসিয়া উপস্থিত। সেদিনও তাহাকে দক্ষিণা বাবদ পাঁচটি টাকা দিয়া বিদায় করিতে হইল।

 সুভাষচন্দ্র এবং রহমৎ বুঝিলেন, পুলিশের এই ভূতটি তাঁহাদের কাঁধে এখন জোঁকের মত আঁটিয়া থাকিবে। এখন ইহার হাত হইতে অব্যাহতি পাইবার উপায় কি, তাঁহারা ইহা চিন্তা করিতে লাগিলেন।

 রহমৎ খাঁ অর্থাৎ ভগৎরামের নিকট সুভাষচন্দ্র শুনিয়াছিলেন যে, কাবুল শহরে উত্তমচাঁদ নামে একজন রেডিয়ো-