পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
১৪১

হইতে বাহির হইয়া আসে এবং ২৫শে আগষ্ট তারিখে শোক-সভায় ‘সুভাষ-দিবস’ প্রতিপালন করে। যাদবপুর কলেজ অফ এঞ্জিনিয়ারিং অ্যাণ্ড টেকনোলজির ছাত্র ও শিক্ষকগণ সম্মিলিত ভাবে এক সভায় নেতাজী সুভাষচন্দ্রের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেন।

 লক্ষ্ণৌ, দিল্লী, করাচী. রাওয়ালপিণ্ডি, সুরাট, পুণা সিটি, কাণপুর, আমেদাবাদ, এলাহাবাদ, পাটনা, লাহোর, নাগপুর, ওয়ার্দ্দা, কটক, জব্বলপুর, শান্তি-নিকেতন, ব্যাঙ্গালোর, সিমলা, ঢাকা প্রভৃতি স্থানে ছাত্রগণ সুভাষ-দিবস প্রতিপালন করিয়াছে। বহু স্থানে পূর্ণ হরতাল অনুষ্ঠিত হইয়াছিল। এতদ্ভিন্ন নানা স্থানে সভা-সমিতির অনুষ্ঠান হয় ও শোভাযাত্রা করিয়া সকলে মৃত ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে।

 ইহার কয়েক মাস পরে, ১৯৪৬ সালের জানুয়ারী মাসে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত শা নওয়াজ খাঁর কলিকাতায় আগমন ও নেতাজী সুভাষচন্দ্রের জন্মোৎসব উপলক্ষে, কলিকাতা মহানগরীর বুকে আনন্দের যে বিপুল উচ্ছ্বাস বহিয়াছিল, সমগ্র পৃথিবীতেই তাহার তুলনা বিরল।

 শা নওয়াজ খাঁ কলিকাতায় আসেন ২২শে জানুয়ামী; ২৩শে জানুয়ারী ছিল নেতাজী সুভাষচন্দ্রের জন্মোৎসব-দিবস; এবং ২৬শে জানুয়ারী ছিল ভারতের স্বাধীনতা-দিবস।

 এই কয়েকটি ঘটনাকে কেন্দ্র করিয়া সমগ্র মহানগরী সেদিন আনন্দে উদ্বেল হইয়া উঠিয়াছিল। নেতাজীর বিশ্বস্ত অনুচর, পরম ভক্ত ও দুর্দ্ধর্ষ বীর শা নওয়াজ খাঁ কলিকাতায়