পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

 সুভাষচন্দ্রের অক্লান্ত পরিশ্রমে হরতাল সাফল্যমণ্ডিত হইল বটে, কিন্তু সঙ্গে-সঙ্গে অতি নির্ম্মমভাবে সরকারী দমন-নীতির সূত্রপাত হইল।

 ইহাতে বিস্ময়ের কিছুই ছিল না, ইহা অপ্রত্যাশিতও নহে। কারণ, মহামান্য ভারত-সম্রাটের জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং ভারতের ভবিষ্যৎ ভাগ্য-বিধাতাকে যাঁহারা অবহেলায় অপাংক্তেয় করিতে সাহসী হন, চরম রাজরোষ যে তাঁহাদের মস্তকে বজ্রের আকারে পতিত হইবে, তাহাতে আর সন্দেহের কি আছে?

 হরতালের একদিন পরে বঙ্গীয় গভর্ণমেণ্ট ১৯শে নভেম্বর তারিখে কংগ্রেস ও খিলাফৎ স্বেচ্ছাসেবক-বাহিনীকে বে-আইনি বলিয়া ঘোষণা করিলেন এবং এই উভয় আন্দোলনকে নিষ্ক্রিয় করিবার অভিপ্রায়ে প্রত্যেক কংগ্রেস ও খিলাফৎ-অফিসে ধারাবাহিকভাবে খানা-তল্লাসী চলিতে লাগিল। ইহার প্রতিবাদে কলিকাতার জাতীয়তাবাদী নেতা ও কর্ম্মিগণের সাক্ষরিত এক বিবৃতি প্রকাশিত হয়। ইহাতে প্রাদেশিক ও জেলা কংগ্রেস-কমিটির সমস্ত সভ্যকে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক-বাহিনীর সভ্যশ্রেণীভুক্ত হইবার জন্য আহ্বান করা হইল।

 এই সম্পর্কে ১৯২১ সালের ১০ই ডিসেম্বর দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, সুভাষচন্দ্র বসু ও অন্যান্য কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন ও সুভাষচন্দ্র বসু বিনাশ্রমে ছয় মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।