পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
৩৩

লাহাের-অধিবেশনে তিনি নিজেই সেই পূর্ণ স্বাধীনতার প্রস্তাব আনয়ন করিলেন।

 সুভাষচন্দ্রের চিন্তাধারা সর্ব্বদাই কিছু অগ্রবর্ত্তী; তিনি প্রস্তাব করিলেন, ব্রিটিশ গভর্নমেণ্টকে পূর্ণভাবে বয়কট করা হউক, আইন-অমান্য আন্দোলন করা হউক এবং পাশাপাশি জাতীয় গভর্ণমেণ্ট প্রতিষ্ঠা করা হউক। কিন্তু সুভাষচন্দ্রের এই প্রস্তাব গৃহীত হইল না।

 লাহোর অধিবেশনের পূর্ব্বে বড়লাট লর্ড আরউইন ভারতবর্ষকে ঔপনিবেশিক স্বায়ত্তশাসনের প্রলােভন দেখাইয়াছিলেন এবং লণ্ডনে ‘রাউণ্ড টেবিল কন্‌ফারেন্স’ নামে এক সর্ব্বদলসম্মেলন হইবে ইহা ঘােষণা করিয়াছিলেন।

 অনেকেই ছিলেন এই কন্‌ফারেন্সে যোগদানের পক্ষে। কিন্তু সুভাষচন্দ্র ও কিচ্‌লু প্রভৃতি কয়েকজন মাত্র ইহার বিরােধিতা করিলেন। তিনি রাজপুরুষদের কাহারও কাছে কোন ভিক্ষার প্রার্থনা বা কাহারও সহিত কোন আপােষমুলক আলােচনা চালাইবার সম্পূর্ণ বিরোধী ছিলেন। অনমনীয় সুভাষচন্দ্রের ইহাই ছিল চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।

 অক্লান্তকর্ম্মী সুভাষচন্দ্র দেশের প্রায় প্রত্যেক কাজের সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট ছিলেন।

 ১৯২৮ খৃষ্টাব্দের ২৮শে ডিসেম্বর তারিখে কলিকাতার হিন্দুস্থান সেবাদল-কন্‌ফারেন্সের যে অধিবেশন হয়, সেই অধিবেশনে সুভাষচন্দ্র সভাপতির আসন গ্রহণ করেন এবং