পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

কংগ্রেস তাহা হইলে অহিংস অসহযোগ-আন্দোলন আরম্ভ করিবে।”

 সুতরাং সুভাষচন্দ্রের পূর্ণ স্বাধীনতা ও মহাত্মার তথাকথিত স্বাধীনতা, এই দুই বিষয়ে ভোট গ্রহণ করা হইল। কিন্তু জনমত তখনও এত তীব্র হইয়া উঠে নাই যে প্রতিষ্ঠিত শ্রদ্ধা ও সঙ্কোচের গণ্ডী এড়াইয়া তরুণের বিপদসঙ্কুল পথ বাছিয়া লইবে! কাজেই সুভাষচন্দ্রের পূর্ণ স্বাধীনতার প্রস্তাব গৃহীত হইল না—তিনি পরাজিত হইলেন।

 সুভাষচন্দ্র পরাজিত হইলেন বটে, কিন্তু মহাত্মা গান্ধীকে সম্ভবতঃ চিন্তিত হইতে হইল! তিনি লক্ষ্য করিলেন, সুভাষচন্দ্র ও জওহরলাল প্রভৃতি চরমপন্থী তরুণের দল ক্রমশঃই নরমপন্থী জননেতা কংগ্রেসের সতর্ক চিন্তাধারাকে যেন অতিক্রম করিয়া যাইতেছে! সুতরাং লাহোরে কংগ্রেসের যে পরবর্ত্তী অধিবেশন হইবে, তাহার সভাপতি নির্ব্বাচনে খুব সাবধানতার প্রয়োজন অনুভব করিলেন।

 চিন্তা অনুযায়ী কার্য্য হইল। পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু লাহোর-কংগ্রেসের প্রেসিডেণ্ট নির্ব্বাচিত হইলেন। তাঁহাকে এই মর্য্যাদা-দানের ফলে পণ্ডিতজী চরমপন্থী দল হইতে মহাত্মা গান্ধীর নরমদলে আকৃষ্ট হইয়া পড়িলেন, এবং মহাত্মা গান্ধীর অভিমতকেই নিজের মত বলিয়া মানিয়া লইলেন।

 কিন্তু মহাত্মা গান্ধী সম্ভবতঃ ইতোমধ্যে নিজের ভুল বুঝিতে পারিয়াছিলেন। কংগ্রেসের কলিকাতা-অধিবেশনে তিনি সুভাষচন্দ্রের যে পূর্ণ স্বাধীনতা-প্রস্তাবের বিরোধী ছিলেন,