পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
৬৯

 কাজ তিনি আরম্ভও করিয়াছিলেন— তাঁহার স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করিতে তিনি উদ্যোগীও হইয়াছিলেন। ১৯৩৮ সালে কলিকাতা কর্পোরেশনের সভায় সুভাষচন্দ্রের স্বপ্নে-দেখা এই রকম একটি জাতীয় ভবনের কথা আলোচিত হয়।

 কলিকাতা কর্পোরেশন বার্ষিক একটাকা মাত্র খাজনায়, চিত্তরঞ্জন এভিনিউর উপর অবস্থিত বৃহৎ একখণ্ড ভূমি সুভাষচন্দ্রকে প্রদান করেন। কিন্তু জমি পাওয়া গেলেই তো প্রাসাদ নির্ম্মাণ সম্ভব হয় না! সুতরাং সুভাষচন্দ্রের গুণমুগ্ধ ভক্তগণ—যাঁহারা কর্পোরেশনের অভ্যন্তরে ছিলেন—তাঁহারা নির্ম্মাণ কার্য্যের জন্য কর্পোরেশন হইতে একলক্ষ টাকা অর্থসাহায্যও মঞ্জুর করাইয়াছিলেন।

 কিন্তু ব্যাপারটা সমাপ্ত হইল ঐখানেই। ১৯৩৯ সালের ত্রিপুরী কংগ্রেসের বাঁশী তখনও করুণ সুরে বাজিয়া যাইতেছিল! ডাঃ পট্টভি সীতারামিয়ার পরাজয়ে মহাত্মা গান্ধী স্বয়ং পরাভব স্বীকার করিয়া এবং ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদিগকে একে-একে নিজের কোলে টানিয়া লইয়া নব-নির্ব্বাচিত রাষ্ট্রপতি সুভাষচন্দ্রকে হস্তপদ-বিহীন ‘ঠুঁটো জগন্নাথে’ পরিণত করিয়াছিলেন। আর রাষ্ট্রপতি সুভাষচন্দ্র তখন পুনঃ পুনঃ কংগ্রেসের ঐক্য-সাধনের চেষ্টা করিয়া, অবশেষে হতাশ হইয়া, পদত্যাগ করিয়া নিষ্কৃতি পাইয়াছিলেন।

 দেশের আবহাওয়া তখন এইরূপ—বাংলা ও বিহারের দ্বন্দ্ব, প্রাচীন ও তরুণের দ্বন্দ্ব। কিন্তু প্রাচীন ও তরুণের এই দ্বন্দ্বে,