বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেপালের বর্ত্তমান গুর্খা রাজগণ।
৮১

অভিভাবকরূপে রাজ্যশাসন করিতে থাকেন। কিন্তু রণবাহাদুর বয়ঃপ্রাপ্ত হইয়া পিতৃব্য বাহাদুর সাহকে কারারুদ্ধ করিয়া হত্যা করেন। রণবাহাদুর অতি অযোগ্য নিষ্ঠুর এবং রূঢ় প্রকৃতির নৃপতি ছিলেন। এই সময় হইতেই নেপালের সিংহাসনে ক্রমাগত শিশু রাজা উপবেশন করিয়া আসিতেছেন। অদ্যাবধি এ নিয়মের অন্যথা হয় নাই। রণবাহাদুরের অনেক কুকীর্ত্তি আছে। তাঁহার দুইটী পুত্র ছিল, একটী পরিণীতা রাণীর গর্ভজাত, অপরটি ব্রাহ্মণীর গর্ভজাত জারজ পুত্র।

 প্রথমোক্তের নাম রণোদ্যতসাহ, দ্বিতীয়ের নাম গৃবান যুদ্ধ বিক্রম। এই ব্রাহ্মণী রাজ্ঞী বসন্ত রোগে লুপ্তশ্রী হইয়া আত্মহত্যা করেন। ব্রাহ্মণীর মৃত্যুতে রাজা শোকে ক্ষিপ্ত প্রায় হইয়া অনেক অদ্ভুত কর্ম্ম করেন, তন্মধ্যে দেবী মন্দিরের লাঞ্ছনা প্রধান কার্য্য। তিনি সমুদায় শীতলার মন্দির অপবিত্র করিয়া, তথায় পূজা রহিত করিয়া দিয়াছিলেন, এবং ব্রাহ্মণদিগের উপরও বিবিধ অত্যাচার করেন। রণবাহাদুর প্রজাদিগের উপর বিবিধ অমানুষিক অত্যাচার করিতেন। ক্রমে তাঁহার মস্তিষ্ক একান্ত বিকৃত হইয়া পড়িল; তখন রাজমন্ত্রী দামোদর পাঁড়ে তাঁহাকে সিংহাসনচ্যুত করিয়া কাশী প্রেরণ করেন। রণবাহাদুর ইতিপূর্ব্বে তাঁহার পুত্র রণোদ্যত সাহকে অতিক্রম করিয়া ব্রাহ্মণীর গর্ভজাত পুত্র গৃবাণ যুদ্ধ বিক্রমকে আপনার উত্তরাধিকারী মনোনীত করিয়াছিলেন। রণবাহাদুর কাশী গমন করিলে মন্ত্রিগণ পঞ্চমবর্ষীয় বালক (৪) গৃবাণ যুদ্ধ বিক্রমকে রাজপদে অভিষিক্ত