একস্থানে মৎসেন্দ্রনাথের অবস্থিতি হয়। সেই দিন সেই স্থানের লোকেরা মৎসেন্দ্রনাথের সেবকদিগের সেবা করেন। এই প্রকারে প্রায় ৭ দিন ধরিয়া মৎসেন্দ্রনাথের যাত্রাকার্যয় সম্পন্ন হয়। পাটনে এক মাস অবস্থিতি করিয়া পুনরায় শুভদিন দেখিয়া মৎসেন্দ্রনাথ ভোগমতিতে প্রত্যাবর্ত্তন করেন। এই মহেন্দ্রনাথের যাত্রা বৌদ্ধ নেওয়ারদিগের উৎসব। এখন ইহাতে সর্ব্বসাধারণে যোগ দিয়া থাকে।
২। ৩রা বৈশাখ হইতে ব্রজযোগিনী যাত্রা আরম্ভ হয়। কাটমণ্ডুর সন্নিকটে মুনিচর পর্ব্বতে এই ব্রজযোগিনী দেবীর মন্দির অবস্থিত। প্রায় এক সপ্তাহ ধরিয়া এই উৎসব সম্পন্ন হইয়া থাকে। দেবীকে এই সময় ক্ষুদ্র কাষ্ঠমন্দিরে স্থাপন করিয়া সকলে তাহাকে স্কন্ধে করিয়া সহর প্রদক্ষিণ করিয়া থাকে। ইহাও নেওয়ারদিগের উৎসব।
২১শে জ্যৈষ্ঠ সিবি যাত্রা—এই দিবসে কাটমণ্ডু সহরের পশ্চিমাংশে বিষ্ণুমতী নদীর তীরে বালকেরা দুই ভাগে বিভক্ত হইয়া নদীর উভয় পারে থাকিয়া পরস্পরকে প্রস্তরখণ্ড মারিতে থাকে। পূর্ব্বে এই পর্ব্বোপলক্ষে জীবননাশ, অঙ্গহানি পর্য্যন্ত ঘটিত। একবার ইংরাজ-রেসিডেণ্ট এই উৎসব দেখিতে আসিয়া দৈবাৎ গুরুতর আহত হন। তখন হইতে জঙ্গ বাহাদুর ইহাকে সংযত করিয়া এখন বালকদিগের ক্রীড়ামাত্রে পরিণত করিয়াছেন। এখন গুরুতর দুর্ঘটনা প্রায় ঘটে না।
৪। ঘাটে মঙ্গল—১৪ই শ্রাবণ নেপালের বালকগণ ঘাটা-