পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৈবেদ্য অনুসন্ধান করিলাম। হরিদ্বারের সমস্ত স্থানই আমি জানি, প্ৰায় সকল স্থানেই দেখিলাম, কোথাও তাহাকে পাইলাম না। ক্লান্ত হইয়া সেই নির্জন গৃহে ফিরিলাম। সেখানেও সে নাই। অপরাহে আবার খুজিতে বাহির হইলাম-নিরাশ হইলাম। দুইদিন হরিদ্ধারে থাকিয়া চারিদিকে দেখিলাম, তাহার কোন উদ্দেশ পাইলাম না। শেষে নিরাশহীদয়ে দেরাদুনে शिंद्रिक्षु ऊनिष्ठां । তাহার পর কত স্থানে কতদিন ভ্ৰমণ করিয়াছি, সন্ন্যাসীর কথা কোন দিন তুলিতে পারি নাই ; তাহার একমাত্র নয়নপুত্তলি অমরের কথা যেন আমার জীবনের সহিত বিজড়িত হইয়া গিয়াছিল ! এই সংসার-সাগরের উন্মত্ত তরঙ্গে ভাসমান বৃন্তচু্যত কুসুমতুল্য দুইটী হতভাগ্যের ব্যথিত জীবন এক সমুজ্জল শারদ মধ্যাহ্নে আমার এই আশাশ্বলিত, উদ্দেশ্যহীন আকাজক্ষাপীড়িত শুষ্ক জীবনের সংশ্রবে। আসিয়া আমার হৃদয়ের উপর কি আকর্ষণজাল বিস্তার করিয়াছিল, প্ৰথমে আমি তাহা বুঝিতে পারি নাই। বহুস্থানে আমি তাহাদের অন্বেষণ করিয়াছি। কিন্তু আর তাহদের দেখিতে পাইলাম না । এই মহানগরী কলিকাতায় আসিয়াও অনুসন্ধানের ক্ৰটী করি নাই; পথে চলিতে চলিতে কতদিন কতবার চারিদিকে চাহিয়া দেখিয়াছি—যদি একবার তাঁহাদের দেখিতে পাই!—কিন্তু আর দেখিতে পাইলাম না। ইচ্ছা ছিল, একবার শুনি সন্ন্যাসী দেশে ফিরিয়া আসিয়াছেন কি না, সুদীর্ঘকালব্যাপী * কঠোর প্রায়শ্চিত্তের পর তাহার “হৃদয় সংযত হইয়াছে কি না ! কিন্তু আমার সে ইচ্ছা পূর্ণ হইল না। এইভাবে অনেক দিন কাটিয়া গেল। বর্ষাকালে একদিন অপরাহে আমি ভাগীরথী তীরবর্তী আমাদের দ্বিতলস্থ বারান্দায় একখানি আরাম W