পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনের ভার কমিয়া গেল বটে, কিন্তু দেহের ভার দুৰ্ব্বহ হইয়া উঠিল; উৎসাহে এতদিন অমানুষী পরিশ্রম করিয়াছি, সে উৎসাহ আজ শেষ হইয়াছে, গৃহে আসিয়া সন্ধ্যাকালে শ্ৰান্ত দেহে শয্যা গ্ৰহণ করিলাম। পরদিন প্ৰাতঃকালে আর বিছানা হইতে উঠিতে পারি না ; বোধ হইল দেহের সমস্ত রক্ত জল হইয়া গিয়াছে। অনেক কষ্টে শয্যাত্যাগ করিলাম ; চক্ষে অসহ্য বেদন বোধ হইতে লাগিল । আমার স্ত্রী বলিলেন, দুটি চক্ষুই “করমচার’ মত লাল হইয়াছে। যতই বেলা বাড়িতে লাগিল, ততই যন্ত্রণার বৃদ্ধি হইতে লাগিল। প্রেসে যাইতে পারিলাম না। অতি কষ্টে, অনিদ্রায় সে রাত্রিও অতিবাহিত করিলাম। রাত্রি প্রভাত হইলে মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে চক্ষু দেখাইবার জন্য উপস্থিত হইলাম। বসু মহাশয়ের এক ছেলে সেখানকার ডাক্তার । তিনি আমাকে তঁহাদের সাহেবের কাছে লইয়া গেলেন। সাহেব যন্ত্রাদির ৭.সাহায্যে চক্ষু পরীক্ষা করিয়া আমাকে যে কথা বলিলেন তাহা মৃত্যু কাল পৰ্যন্ত আমার মনে থাকিবে ; তিনি বলিলেন, আমার দুটি চোেখই গিয়াছে, চিকিৎসার আর সময় নাই । দৃষ্টিশক্তি বিলুপ্ত হইবার পূৰ্বেই আমি জগৎ অন্ধকার দেখিলাম। অন্ধত্ব আসিয়া আমাকে গ্ৰাস করিতেছে ; অৰ্দ্ধাশনে আট মাস কাটাইDS BDBD DBDDBDD D DBBDD BBBuB BD DDD S BDBB DBBB কাহার দ্বারে দাড়াইবে ? অশ্রুজিলে আমার উভয় গণ্ড ভাসিয়া গেলআত্মসংবরণ করিতে পারিলাম না । ] আমাকে শোকাকুল ও অধীর দেখিয়া প্ৰবোধ বাবু দয়া করিয়া একখানা গাড়ীতে তুলিয়া আমাকে আমার সেই খোলার ঘরে রাখিয়া আসিলেন। সকল কথা শুনিয়া আমার স্ত্রী মূচ্ছিতা হইয়া পড়িলেন ; & NR