পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৈবেদ্য তাহা বুঝি। প্রেমহীন হৃদয় লইয়া কি বিবাহ করা যায় ? একাকী আসিয়াছি, একাকী যাইব ; জলস্রোতের মত জীবনের এতগুলা বৎসর কাটাইয়া দিলাম, আর কয়েক বৎসর কাটিলেই তা সংসারের দোকানপাট তুলিতে হইবে। কিন্তু পিসিমা মনে বড় ব্যথা পাইয়াছেন, দিদি ত অভিমান করিয়া আর আমাকে বিবাহের কথাই বলেন না, বৌদিদি বলেন, “আমি পর বই ত নই, আমার কথা কেন রাখিবে ” ভাবিলাম, সকলের প্রীতির জন্য এ হৃদয় বলি দিব। পৃথিবীতে কোন সৎ, কোন মহৎ কাজ করি নাই ; কাহারও মনে কোন আনন্দ দান করিতে পারি নাই; পিসিমার শেষ বাসনা অপূর্ণ রাখিব না, বিবাহ করিব। সুখী হইব না নিশ্চয়, এমন হতভাগ্য দরিদ্র অক্ষম কি বিবাহ করিয়া সুখী হইতে পারে ? পরদিন পিসিমাকে বলিলাম, “বিবাহ স্থির করু, তোমার আদেশ পালন করিব ; কিন্তু আমার দুঃখ তোমরা জমাট বাধিয়া তুলিলে।” বৌদিদি বলিলেন, “মেয়ে দেখবে না, ঠাকুরপো ।” আমি নিরাশার হাসি হাসিয়া উত্তর করিলাম, “যাহারা সুখের জন্য বিবাহ করে তাহারা মেয়ে দেখুক ; তোমরা যাঁহাতে সুখী হও তাঁহাই যখন করিতেছি, তখন মেয়ে দেখিবার আবশ্যক কি ?” বৌদিদি চক্ষে বিদ্যুৎপ্রবাহ সঞ্চারিত করিয়া বলিলেন, “ঠাকুরপো যেন কি ?-আচ্ছা দেখা যাবে। ” 8 বৈশাখ মাসের প্রথমেই আমার বিবাহ হইয়া গেল। আমার স্ত্রীর নাম 3 R