পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতিক্ষা। লক্ষ্মী। শুভদৃষ্টির সময় একবার লক্ষ্মীর মুখ দেখিয়াছিলাম ; সেই সুন্দর সরল মুখে এমন একটা বিষাদের ভাব ছিল যে, আমি বালিকার হৃদয়রহস্য জানিবার জন্য ব্যাকুল হইলাম ; কিন্তু সে ব্যাকুলত প্ৰকাশ করি নাই। বিবাহ করিবার পূৰ্ব্বে কিছু না ভাবিয়া চিন্তিয়া, কনে না দেখিয়া, একটা পাড়া গেয়ে অসভ্য মেয়ে বিবাহ করিয়া আনিব, ইহা কোন দিন আমি ভাবি নাই। মনের মধ্যে স্ত্রীর আদর্শ অতি উচ্চ ছিল ; ভাবিতাম মৃণালিনী, কুন্দনন্দিনীর মত প্ৰেমবিহবলা, পতিগতপ্ৰাণা পত্নী যদি কখন পাই, তবে তাহাকে বিবাহ করিব। অনেক সময়ে আমি নিজের দুরবস্থায় দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করিতাম ; জগতের এত সুন্দর দৃশ্যের মধ্যেও তৃপ্তি পাইতাম না ; বিবাহের রাত্ৰে বুঝিলাম, আমার ইচ্ছা পূর্ণ না হইবার गडांवनारे उांशब अछडम कांब्र१; 4डनि डॉश वृत्तःि नाशे । शनि আমি দরিদ্র না হইতাম! নিজের ইচ্ছা যখন পূর্ণ হইবে না। তখন পিসিমার ইচ্ছাই পূর্ণ করি ; মনে জানিব একজনকে সুখী করিলাম। তাই এ বিবাহে, মত দিয়াছিলাম ; কিন্তু আর একজনকে ষে অসুখী করিবার আমার কোন অধিকার নাই, স্বাৰ্থত্যাগের গর্বে আমি সে কথা একবারও ভাবি নাই ; ভাবিলে কি বিবাহে সম্মতি দান করি ?-এই সকল কথা ভাবিতে ভাবিতে জীবনের শুভবান্ধন-বিধায়ক পুণ্যময় বাসরন্যামিনী অতিবাহিত করিলাম। অতি প্ৰত্যুষে উঠিয়া দেখি লক্ষ্মী একপাশে শুইয়া ঘুমাইতেছে, তাহার মুখের উপর হইতে অবগুণ্ঠন সরিয়া পড়িয়াছে, বাতায়ন-পথে পাণ্ডুর চন্দ্ৰ স্নান দৃষ্টিতে তাহার মুখের দিকে চাহিয়া আছে এবং প্ৰভাতবায়ু তাহার সিন্দূরবিন্দু প্ৰান্তবৰ্ত্তী কুন্তলরাশি কম্পিত করিতেছে। আমি একবার লক্ষ্মীর মুখের দিকে চাহিলাম, সে মুখ কোমলতা ও সরলতায় প্ৰভাত মল্লিকার শিশিরক্ষাত সুরভিত দলের ন্যায় বিকশিত B\