পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অদৃষ্ট । যশোহর জেলায়। বিবাহ হইবে হাবড়ায় ; শুনিলাম ক’নের বাড়ী হাবড়ায় নহে ; তবে বিবাহ দিবার জন্য র্তাহার হাবড়ায় আসিয়া আছেন; সেখানেই । বিবাহ হইবে। বন্ধুর বিবাহ ; আমরা বরযাত্র। সন্ধ্যার পূৰ্বেই সকলে মিলিয়া দল বাধিয়া হাবড়ায় বিবাহ বাড়ীতে গেলাম। কিন্তু সেখানে গিয়া বড়ই বিপদে পড়িলাম। আমার বন্ধুটী বড়ই ভাল মানুষ; দেশ হইতে র্তাহার পিতা, পিতৃব্য, মাতুল ইত্যাদি অনেক আত্মীয় স্বজন আসিয়াছেন। বিবাহের পূৰ্ব্বে নগদ কিছু টাকা ও অলঙ্কার দিবার ব্যবস্থা হয় এবং বৰ্ত্তমান প্ৰথা অনুসারে যথারীতি একটা ফর্দ ও প্ৰস্তুত হয়। কন্যাকৰ্ত্তার অবস্থা তেমন ভাল নহে, সেই জন্যই এতদিন মেয়েটকে বিবাহ দিতে পারেন নাই। শেষে আর কোন দিক না ভাবিয়া আমার বন্ধুর অভিভাবকেরা যাহা চাহিয়াছিলেন তাহাই স্বীকার করেন। তিনি হয়ত মনে করিয়াছিলেন, বিবাহের সময় হাতে পায়ে জড়াইয়া ধরিয়া কিছু মাপ পাইতে পরিবেন। ভদ্র কায়স্থ-সন্তান, লেখা পড়া জানেন ; কন্যাদায়গ্ৰস্ত দরিদ্রের দুঃখ দেখিয়া অবশ্যই তঁহাদের মন টলিবে এবং ফর্দ মত টাকা ও অলঙ্কার দিতে না পারিলেও ভদ্রলোকের জাতি রক্ষার জন্য বিবাহ বন্ধ রাখিতে পরিবেন না। বিপদে পড়িলে মানুষ পরের সহানুভূতির প্রত্যাশা এতই বেশী করিয়া থাকে { আমরা ক’নের বাড়ী পৌঁছিয়া দেখি বিষম গোল বাধিয়া গিয়াছে। কষ্টকৰ্ত্তা ও পৃষ্ঠাহীর দুই পুত্র বরকত্ত্বাদিগের হাতে পায়ে ধরিতেছেন, গলবস্ত্ৰ হইয়া অশ্রুজলে বুক ভাসাইতেছেন। কিন্তু বরাকর্তা কিছুতেই রাজী নহেন। নগদ টাকা ও অলঙ্কাবগুলি ফৰ্দ মোতাবেক মিলাইয়া না দিলে তাহারা ছেলের বিবাহ দেবেন না । এ কথায় মহা গোলযোগ লাগিয়া গেল। আমরা দুইখানি লুচির আশায় গঙ্গাপার হইয়া এতখানি রান্তা १७ गा