পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন্ন্যাসী । তখন তেইশ বৎসর। যৌবন, বয়স, কবিতাময় জীবন, উন্নত অবস্থা,— আমি তখন স্বপ্নরাজ্যে বেড়াই তাম ; আমাকে তখন যদি কেহ স্বৰ্গে যাইবার জন্য অনুরোধ করিত, আমি তাহাতেও অসম্মত হাইতাম-স্বর্গেও বুঝি এত সুখ মিলিত না। আমি বি-এ পাশ করিলাম, এম, এ পরীক্ষা দেওয়া হইল না । বাড়ীতেই বসিয়া থাকি, আর সৌন্দৰ্য্যের রাজ্যে ভ্ৰমণ করি। বিবাহের দেড় বৎসর পরে অমর জন্মগ্রহণ করিল। আমাদের সুখ ষোলকলায় পূর্ণ হইল। কিন্তু কে জানিত যে, এত সুখেও আমাদের দুঃখ আসিবে। তারপর কি হইল জান ? আজি পাচি ছয় মাস পূৰ্ব্বে আমার স্ত্রীর অত্যন্ত জ্বর হয়, জীবনসংশয় হইয়াছিল ; অনেক সত্নে, অনেক চেষ্টায়, অনেক অর্থব্যয়ে তঁাতার জীবনরক্ষা হয়; কিন্তু তাহার শরীর এতই দুৰ্বল হইয়া পড়ে যে, ডাক্তারেরা সকলেই বায়ুপরিবর্তনের পরামর্শ দেন। আমি তদনুসারে সপরিবারে- যাই । স্থানটির নাম তোমাকে বলিলাম না । যেখানে গেলাম, সে স্থানটি উত্তরপশ্চিম প্ৰদেশ হইলেও সেখানে অনেক বাঙ্গালী বাস করেন। যদিও সে সময়ে স্থানপরিবর্তন জন্যই আমার স্ত্রীর শরীর ক্রমে একটু করিয়া সুস্থ হইতেছিল, তবুও একজন চিকিৎসকের চিকিৎসাধীনে তঁহাকে রাখা আমি কৰ্ত্তব্য মনে করিলাম। সেই সহরে অনেক নামওয়ালা ডাক্তার ছিলেন বটে, কিন্তু আমার একজন বাঙ্গালী বন্ধু বলিলেন ‘‘এখানে একজন *নটিব ডাক্তার অন্ত্রছেন। তিনি যদিও ক্যাম্বেল স্কুলের পাশ এবং তঁাহার বয়স যদিও কম, কিন্তু তঁহার চিকিৎসা সম্বন্ধে বড়ই সুনাম এবং তিনি অতিশয় সচ্চরিত্র সাধু ব্যক্তি। বড় বড় ডাক্তারেরা আসিয়া পদধূলি প্রদান করিয়াই বড় বড় দর্শনী লইয়া চলিয়া যান ; ছোট • রকমের ডাক্তারগণ তাহা করেন না ; বিশেষ কোন অবস্থাপন্ন লোক যদি আঁঠহা ని